১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শারজায় কুরআনের প্রাচীন ৫০ পাণ্ডুলিপি ও রাসূল সা:-এর বংশধারা প্রদর্শনী

শারজায় কুরআনের প্রাচীন ৫০ পাণ্ডুলিপি প্রদর্শনী। ইনসেটে রাসূল সা:-এর বংশধারা - ছবি : সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় ইসলামী ইতিহাসের ১৪ শ’ বছর ধরে সংগৃহীত পবিত্র কুরআনের পুরাতন ৫০টি পাণ্ডুলিপি, রাসূল সা:-এর বংশধারা ও ইসলামী ক্যালিওগ্রাফির প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

গত সোমবার (৩১ অক্টোবর) শারজা মিউজিয়াম অব ইসলামিক সিভিলাইজেশন আয়োজিত এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন শেখ ড. সুলতান বিন মোহাম্মদ আল-কাসিমি।

আরবি ক্যালিওগ্রাফির ইতিহাস ও শিল্পকলা সমৃদ্ধিতে এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে এই আয়োজন করা হয়। আগামী বছরের ১৯ মার্চ পর্যন্ত প্রদর্শনীটি উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।

প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন শারজা বন্দর ও কাস্টমসের প্রধান শেখ খালিদ বিন আবদুল্লাহ আল-কাসিমি, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা জাকি নুসাইবাহ, শারজা মিউজিয়াম অথোরিটির প্রধান পরিচালক মানাল আতায়াসহ আরো অনেকে।

আমিরাতের সংবাদ মাধ্যম দ্য ন্যাশনাল সূত্রে জানা যায়, এই প্রদর্শনীতে আছে গত ১৪ শ’ বছরে নিকট-প্রাচ্য থেকে চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে স্পেন ও দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো থেকে সংগৃহীত পবিত্র কুরআনের প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, ইসলামিক ক্যালিওগ্রাফি ও ডিজাইন। এতে আরো আছে ১৮৪৪ সালের নারী লিপিকার শরিফা ওয়াহিদা ইয়াকুতের দুর্লভ শিল্পকর্ম, ১৪০০ সালের পবিত্র কুরআনের ১.৭ দৈর্ঘ্যের বায়সুংকুর কপি এবং অষ্টম শতাব্দীর তাসখন্দের প্রাচীনতম কুরআন পাণ্ডুলিপিসহ আরো অনেক কিছু।

আমিরাতের ক্রিসেন্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা হামিদ জাফরের অনেক পুরনো পাণ্ডুলিপি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। যা তিনি গত ৪০ বছর ধরে সংগ্রহ করেছেন। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো আমার সংগ্রহ থেকে নির্বাচিত ইসলামী নিদর্শন প্রদর্শন শুরু হওয়ায় আমি খুবই গর্বিত। আমার প্রিয় শারজা শহরে এমন প্রদর্শনী হওয়ায় আমি আরো বেশি আপ্লুত যে শহরে গত অর্ধ-শতাব্দী ধরে আমি বসবাস করছি। এমন অসাধারণ কাজের সৌন্দর্য সবার সাথে ভাগ করে নিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। ইসলামের শৈল্পিক প্রভাব ও এই অঞ্চলে এর ঐক্যবদ্ধ শক্তি উপস্থাপনের প্রয়াস হিসেবে প্রথমে তা সংগ্রহ করা হয়।

শারজা মিউজিয়ামের প্রধান পরিচালক মানাল আতায়া বলেন, ‘এমন প্রদর্শনীর আয়োজন মাধ্যমে শেখ ড. সুলতান বিন মোহাম্মদ আল-কাসিমির আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়। ইসলামী শিল্পকলা ও ক্যালিওগ্রাফি নিয়ে এমন আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত যা ইসলামী ঐতিহ্যের বৈচিত্র্যপূর্ণ দিকের প্রতিনিধিত্ব করে। ইসলামী শিল্পকলার প্রধান উপাদান ক্যালিওগ্রাফি যা বিশ্বের অসংখ্য সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছে।’

সূত্র : দ্য ন্যাশনাল নিউজ, জিও নিউজ ও অন্যান্য


আরো সংবাদ



premium cement