২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সিরিয়ার সব পক্ষকে নিয়ে ৭ম রাউন্ডের বৈঠকের আশা জাতিসঙ্ঘ দূতের

নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখছেন সিরিয়া বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত গেইর পেডারসেন - ছবি : সংগৃহীত

জাতিসঙ্ঘের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত গেইর পেডারসেন বলেছেন, তিনি আশা করছেন ফেব্রুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সিরিয়ার সব পক্ষকে নিয়ে গঠিত সাংবিধানিক কমিটির সপ্তম রাউন্ডের বৈঠকের আয়োজন করতে পারবেন।

বুধবার পেডারসেন এক জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে এই আশাবাদ জানান তিনি।

পেডারসেন বলেন, সিরিয়ায় বর্তমানে এক কোটি ৪০ লাখ লোকের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। দেশেটির এক কোটি ২০ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত, যারা বৈরি শীতল আবহাওয়ায় দুর্ভোগে রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশটি বর্তমানে কার্যকর ভাবেই বিভক্ত রয়েছে এবং সমাজ গভীর থেকেই চূর্ণবিচূর্ণ। সিরিয়ানরা রাজনৈতিক সমাধানের পথে কোনো অগ্রগতি দেখছেন না।’

তিনি বলেন, ‘দুই বছরেও যুদ্ধের সম্মুখসারিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এটি স্পষ্ট যে বিদ্যমান কোনো কুশীলব বা কুশীলবের দল এই সংঘর্ষের গতিপথ বা ফলাফল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না এবং নিশ্চিতভাবেই সামরিক সমাধান বিভ্রমই থেকে গেছে।’

২০১১ সালের মার্চে আরব বসন্তের পরিপ্রেক্ষিতে সিরিয়ার একনায়ক বাশার আল আসাদের পদত্যাগের দাবিতে দেশটির বিভিন্ন শহরে রাস্তায় বিক্ষোভে নামে সাধারণ জনতা। বাশার আল-আসাদ সামরিক উপায়ে এই বিক্ষোভ দমন করতে চাইলে দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের মুখে পড়ে দেশটি।

প্রায় ১১ বছর চলমান এই গৃহযুদ্ধে দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেকই বাস্তুচ্যুত হয়। জাতিসঙ্ঘের তথ্যানুসারে এক কোটির বেশি লোক যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়।

এছাড়া যুদ্ধের কারণে অন্তত ৬৬ লাখ সিরিয়ান গত ১১ বছরে দেশ ছেড়েছেন। দেশ ত্যাগ করা এই সকল সিরিয়ান নাগরিক প্রতিবেশী তুরস্ক, জর্দান, লেবানন, ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুসারে, সিরিয়ায় ১০ বছর চলমান গৃহযুদ্ধে তিন লাখ ৫০ হাজার দুই শ' নয়জন নিহত হয়েছে।

১০ বছরের গৃহযুদ্ধে শুরুতে বেকায়দায় পড়লেও পরে রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায় বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত বেশিরভাগ অঞ্চল পুনরায় দখল করে নেয় আসাদ সরকার।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ ও দ্য ন্যাশনাল


আরো সংবাদ



premium cement