১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৌদি ও আমিরাতে হাউছি হামলা, বাংলাদেশী আহত

মিসাইল হামলায় বিধ্বস্ত ধ্বংসস্তুপ - ছবি : আরব নিউজ/এসপিএ

সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীরা। হামলায় আমিরাতে কেউ হতাহত না হলেও সৌদি আরবে হাউছিদের হামলায় এক বাংলাদেশী ও এক সুদানী নাগরিক আহত হয়েছেন।

রোববার সৌদি নেতৃত্বের আরব জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইয়েমেন সীমান্তবর্তী সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় জিজান প্রদেশের আহাদ আল-মাসারিহাহ শহরের শিল্প এলাকায় লক্ষ্য করে নিক্ষিপ্ত এক ব্যালিস্টিক মিসাইলের আঘাতে এক বাংলাদেশী ও এক সুদানি নাগরিক আহত হন। একইসাথে মিসাইলের আঘাতে কারখানা ও বেসামরিক যানবাহনও এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া সোমবার সকালে আরব জোটের প্রকাশিত অপর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের দাহরান আল-জানুব শহর লক্ষ্য করে নিক্ষিপ্ত আরো একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল সৌদি সামরিক বাহিনী ধ্বংস করেছে।

অপরদিকে সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজধানী আবুধাবি লক্ষ্য করে নিক্ষিপ্ত দুই ব্যালিস্টিক মিসাইলকে ধ্বংস করেছে। হামলায় কেউ নিহত বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

হাউছি নিয়ন্ত্রণাধীন আল-মাসিরাহ টেলিভিশনে জানানো হয়েছে, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ‘বৃহদাকারের সামরিক অভিযান’ করতে যাচ্ছে হাউছি যোদ্ধারা।

তবে এই নিয়ে বিস্তারিত কিছুই তাতে জানানো হয়নি।

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি আবুধাবিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছিলো হাউছিরা। আবুধাবির শিল্পাঞ্চল মুসাফফায় এই হামলায় দুই ভারতীয় ও এক পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হন। ওই হামলায় আরো ছয়জন আহত হন।

এর জেরে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ইয়েমেনে বিমান হামলা চালায় সৌদি নেতৃত্বের আরব জোট। আরব জোটের বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার হাউছি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের রাজধানী সানায় অন্তত ২০ জন ও শুক্রবার হাউছিদের মূল কেন্দ্র সা’দায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন।

একইসাথে শুক্রবার ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হুদাইদা শহরে আরব জোটের বিমান হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হন।

২০১১ সালে আরব বসন্তের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের বিক্ষোভের জেরে ইয়েমেনে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক আলী আবদুল্লাহ সালেহ সরকারের পতন ঘটে। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মানসুর হাদি দায়িত্ব নেন। নতুন সরকার গঠন হলেও ইয়েমেনের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকে।

বিবাদমান পক্ষগুলোর দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৪ সালের শেষে ইরান সমর্থিত উত্তর ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করলে প্রেসিডেন্ট হাদি সৌদি আরবে আশ্রয় নেন। ২০১৫ সালের মার্চে সৌদি নেতৃত্বের জোট হাউছিদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে আগ্রাসন করলে দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের মুখে পড়ে আরব উপদ্বীপের দরিদ্রতম দেশটি।

ছয় বছরের বেশি সময় চলমান এই গৃহযুদ্ধে হাউছি নিয়ন্ত্রিত সানাকেন্দ্রীক উত্তর ইয়েমেন ও বন্দর নগরী এডেনকেন্দ্রীক দক্ষিণাঞ্চলীয় সরকারের অধীন দক্ষিণ ইয়েমেনে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

২০২০ সালে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সৌদি মধ্যস্থতায় দক্ষিণের সব শক্তিকে একত্রিত করে নতুন এক ঐক্য সরকার গঠন করা হয়। সৌদি সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মানসুর হাদি ও আমিরাতের সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী এসটিসিকে একত্রিত করে এই সরকার গঠিত হয়।

ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধ-সংঘাতে এক লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোকজন। এছাড়া যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ।

ছয় বছরের টানা যুদ্ধ ও অবরোধে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে ইয়েমেন। ইতোমধ্যে ক্ষুধায় ৫০ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে। ইয়েমেনের চলমান পরিস্থিতিকে বিশ্বের নিকৃষ্টতম মানবসৃষ্ট মানবিক সংকট হিসেবে হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসঙ্ঘ।

সূত্র : আলজাজিরা, আলআরাবিয়া ও আরব নিউজ


আরো সংবাদ



premium cement
সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২ বিল দখলের চেষ্টা, জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি ‘শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করলে বিজয় অনিবার্য’

সকল