২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সিরিয়ার বাগুজে মার্কিন বিমান হামলার পুনরায় তদন্ত করছে পেন্টাগন

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর-সিরিয়ার বাগুজে মার্কিন বিমান হামলার পুনরায় তদন্ত করছে পেন্টাগন
বাগুজে বিমান হামলায় সৃষ্ট ধোঁয়া - ছবি : আলজাজিরা/এপি

সিরিয়ার দেইর আজ-জর প্রদেশের বাগুজ শহরে ২০১৯ সালের মার্কিন বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে পুনরায় তদন্তে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।

সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

তিনি জানান, মার্কিন সেনাবাহিনীর কমান্ড প্রধান জেনারেল মাইকেল গ্যারেটের নেতৃত্বে নতুন এই তদন্ত করা হবে।

কিরবি আরো বলেন, নতুন তদন্তে এই ঘটনার 'নথি লিপিবদ্ধ ও প্রতিবেদনের প্রক্রিয়া' সম্পর্কে নিরীক্ষণ করা হবে।

৯০ দিনের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করা হবে জানিয়ে কিরবি বলেন, এতে আরো মূল্যায়ন করা হবে, ঘটনার জন্য 'জবাবদিহিতা' যথাযথভাবে আদায় করা হয়েছিলো কি না।

২০১৯ সালের ১৮ মার্চ, সিরিয়া-ইরাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উগ্রবাদি সংগঠন আইএসের সাথে সংঘর্ষে মার্কিন বাহিনী বাগুজ শহরে বিমান হামলা চালায়। ওই হামলায় ৭০ জন লোক হতাহত হয়।

চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদপত্র দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই হামলায় নিহতরা বেসামরিক লোক। মার্কিন সামরিক বাহিনী কোনো প্রকার সতর্ক বার্তা ছাড়াই বিমান হামলার মাধ্যমে নারী-শিশুসহ ৭০ বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার পর ওই স্থানটি বুলডোজারের সাহায্যে মার্কিন নেতৃত্বের কোয়ালিশন বাহিনী মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় এবং ঘটনার সংশ্লিষ্ট সব প্রতিবেদন ও নথিপত্র গোপন করা হয়।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদনের পর ১৪ নভেম্বর মার্কিন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন বিল আরবান এক বিবৃতিতে বাগুজ শহরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলাকে ‘বৈধ আত্মরক্ষামূলক’ হামলা বলে উল্লেখ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বলেন, নিহতদের সকলের অবস্থা মূল্যায়ন সম্ভব হয়নি। কিছু নারী ও শিশুও যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলো এবং তাই তাদের বেসামরিক হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করা যায় না।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement