২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বোয়িং-৭০৭ বিমানকে রেস্টুরেন্টে পরিণত করলেন ফিলিস্তিনি দুই ভাই

বিমান রেস্টুরেন্টের ককপিটে ফিলিস্তিনি দুই ভাই - ছবি : এএফপি

আকাশযাত্রার জন্য বাতিল একটি বোয়িং-৭০৭ বিমানকে নতুন এক যাত্রার জন্য তৈরি করছিলেন ফিলিস্তিনি শ্রমিকরা। ইসরাইলি অধিকৃত পশ্চিম তীরে চালু হতে যাওয়া নতুন এক রেস্টুরেন্ট এই বিমানেই স্থাপিত হবে। তার জন্যই প্রস্তুতি চলছে সবার।

৬০ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি দুই জমজ ভাই আতা আল-সাইরাফি ও খামিস আল-সাইরাফি রেস্টুরেন্টটির মালিক। তারা প্রত্যাশা করছেন, যে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রথম খদ্দেরকে নাবলুসের কাছে নির্জন পাহাড়ি এলাকায় এই রেস্টুরেন্টে স্বাগত জানাবেন তারা।

বিমানের ভেতরের বসার আসন ও জানালার গ্লাস তুলে ফেলা হয়েছে। কাঠের পাতে মোড়ানো মেঝে ও সাদা দেয়ালের অভ্যন্তরভাগে শিগগিরই রেস্টুরেন্টের টেবিল-চেয়ার স্থাপন করা হবে।

বিমানের অভ্যন্তরে আতা ও খামিস সাইরাফি- ছবি : এএফপি

 

ফিলিস্তিন ও জর্দানের পতাকায় শোভিত করা হবে এই বিমান-রেস্টুরেন্টকে। সাইরাফি ভাইয়েরা তাদের রেস্টুরেন্টটিকে 'দ্য প্যালেস্টিনিয়ান-জর্ডানিয়ান এয়ারলাইন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড কফি শপ আল সাইরাফি নাবলুস' নাম দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। 

খামিস আল-সাইরাফি বলেন, 'ওয়াটার পাইপের মাধ্যমে যারা ধুমপান পছন্দ করেন, তাদের জন্য হুক্কা পরিবেশনের মাধ্যমে আমরা এর যাত্রা শুরু করবো।'

পরে তারা আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসার সম্প্রসারণ করবেন।

তিনি আরো বলেন, বিমানটির ককপিট রেস্টুরেন্টটিতে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাওয়া নতুন বিবাহিত যুগলদের জন্য বরাদ্দ থাকবে।

আতা আল-সাইরাফি বলেন, তিনি ও তার ভাই পুরনো লোহা-লক্কর ও ধাতব বস্তুর ব্যবসা করেন। দুই দশক আগে তারা জানতে পারেন যে উত্তর ইসরাইলের কিরয়াত সোহমোনার কাছে ১৯৮০ সালের পুরনো এই বিমানটি পড়ে আছে। ১৯৯৯ সালে তারা বিমানটি কেনেন।

তিনি জানান, ২০০০ সাল থেকেই তারা বিমানটিতে রেস্টুরেন্ট চালুর পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু ওই সময় শুরু হওয়া দ্বিতীয় ইন্তেফাদা ও পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহে তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে এত দিন সময় লেগেছে।

সূত্র : গালফ টুডে


আরো সংবাদ



premium cement