২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নেতানিয়াহু : ১২ বছরের ঘটন-অঘটন

ইসরাইলি আইনসভা নেসেটে ভাষণ দানরত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু - ছবি : এএফপি

ভক্তদের কাছে পরম সমাদৃত ও বিরোধীদের কাছে চরম সমালোচিত ইসরাইলের রাজনীতির প্রভাবশালী চরিত্র বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রক্ষণশীল লিকুদ পার্টির প্রধান ‘বিবি’ নামে পরিচিতি এই রাজনীতিবিদ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর পদে টানা ১২ বছরসহ মোট ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। রোববার রাতে ইসরাইলি আইন পরিষদ নেসেটের অধিবেশনে অনুষ্ঠিত আস্থা ভোটে নেতানিয়াহুর বিরোধী জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে তার দীর্ঘ শাসনের অবসান হয়।

এর আগে ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন নেতানিয়াহু। পরে ১৯৯৯ সালে এক আগাম নির্বাচনে পরাজয়ের পর ক্ষমতা ছাড়তে হয় তাকে।

এর ১০ বছর পর আবার নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন রক্ষণশীল এই নেতা। তখন থেকে চার বছরের মেয়াদে মোট চার দফায় সরকার গঠন করেন তিনি।

দীর্ঘদিনের শাসন ক্ষমতায় থাকাকালে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়াকে অচল করার সব প্রচেষ্টাই নিয়েছেন তিনি। তার শাসনকালেই জেরুসালেমসহ জর্দান সংলগ্ন অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের কার্যক্রম প্রসারিত হয়েছে। অপরদিকে মিসর সংলগ্ন গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধ জোরদার করেছেন তিনি। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নিয়ন্ত্রিত এই ভূখণ্ডে তার শাসনামলে চার বার আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।

অপরদিকে প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিন ইস্যুকে গৌণ করার প্রয়াস চালান বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর অংশ হিসেবে গত বছর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় কথিত ‘ইবরাহীমি চুক্তির’ আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কোর সাথে স্বাভাবিক কূটনীতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরাইলের।

পোল্যান্ড থেকে অভিবাসী হয়ে আসা আশকেনজাই (ইউরোপীয় ইহুদি) পরিবারের বাবা বেনজিওন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনে জন্ম নেয়া সেপার্ডিক (স্পেনীয় ইহুদি) পরিবারের মা জিলা সেগালের দ্বিতীয় সন্তান বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ১৯৪৯ সালে তেলআবিবে জন্ম গ্রহণ করেন।

বেনজিওন নেতানিয়াহু ছিলেন খ্যাতনামা ইসরাইলি ঐতিহাসিক। তিনি ‘শোধনবাদী জায়নবাদে’ বিশ্বাস করতেন, যার মূলমন্ত্র হলো জর্দান নদীর দুই পাড়েই ইসরাইলের অবস্থান প্রসার করা এবং প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সাথে যে কোনো প্রকার আপস প্রত্যাখ্যান করা।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ১৯৬৩ সালে পরিবারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে যান। ১৯৬৭ সালে ১৮ বছর বয়সে ইসরাইলে ফিরে এসে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। সামরিক বাহিনীতে তিনি বিশেষ কমান্ডো দল ‘সায়েরেত মাতকালে’ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে তিনি কমান্ডো দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীতে দায়িত্ব পালনকালে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু- ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

 

সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব শেষে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। সেখানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে স্থাপত্য বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন তিনি।

১৯৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলি দূতাবাসে উপ-প্রধান হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৮৪ সালে জাতিসঙ্ঘে ইসরাইলের দূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ১৯৮৮ সালে ইসরাইলে ফিরে আসেন এবং রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তিনি রক্ষণশীল লিকুদ পার্টিতে যোগ দেন এবং আইজ্যাক শামিরের মন্ত্রিসভায় উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৯৩ সালে তিনি প্রথমবারের মতো লিকুদ পার্টির প্রধান নির্বাচিত হন। ওই সময় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত ও তৎকালীন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের মধ্যে পারস্পারিক স্বীকৃতি ও স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের বিষয়ে স্বাক্ষরিত অসলো শান্তি চুক্তির সমালোচনা করেন তিনি।

অসলো শান্তি চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলজুড়ে বিতর্কের মুখে ১৯৯৫ সালে এক উগ্রপন্থীর গুলিতে প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন নিহত হন। প্রধানমন্ত্রী নিহত হওয়ায় নতুন সরকার গঠনের প্রশ্নে ১৯৯৬ সালে ইসরাইলে নির্বাচন হয়। নির্বাচনে জয় লাভের পর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর প্রথম প্রজন্মের সন্তান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

কিন্তু বিয়ে নিয়ে কেলেংকারি ও দুর্নীতির অভিযোগে বিরোধিতার মুখে ১৯৯৯ সালে আগাম নির্বাচন দেন নেতানিয়াহু। নির্বাচনে লেবার দলের কাছে পরাজিত হলে একইসাথে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদ হারান তিনি।

দুই বছর পর ২০০১ সালে অ্যারিয়েল শ্যারনের নেতৃত্বে লিকুদ পার্টি আবার ক্ষমতায় এলে প্রথমে পররাষ্ট্র ও পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন তিনি। কিন্তু ২০০৫ সালে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি অবস্থান সরিয়ে আনার প্রতিবাদে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দলের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়। ফলে লিকুদ পার্টি থেকে বের হয়ে নতুন কাদিমা দল গঠন করেন শ্যারন।

লিকুদ পার্টি থেকে শ্যারনের বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগে নেতানিয়াহুর জন্য দলের নেতৃত্বের পথ খুলে যায়।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০০৯ সালে ইসরাইলের ক্ষমতায় ফেরে লিকুদ পার্টি।

২০০৯ সালে মন্ত্রিসভা গঠনের পর তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সাথে নেতানিয়াহু- ছবি : ডেইলি মেইল

 

২০০৯ সালে মিসরের কায়রোতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঐতিহাসিক ভাষণে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের আওতায় ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কথা বলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তিনি সম্মতি দেবেন যদি, দেশটিতে কোনো সামরিক বাহিনী না থাকে, ফিলিস্তিনিরা তাদের প্রত্যাবাসনের দাবি ছেড়ে দেয় এবং অবিভক্ত জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মেনে নেয়।

ফিলিস্তিনে ২০০৬ সালে সাধারণ নির্বাচনে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জয় লাভ করলেও তাদের ক্ষমতায় যেতে দেয়া হয়নি। ঘটনার ধারাবাহিকতায় তারা মিসর সংলগ্ন গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিলে ইসরাইল মিসরের সহায়তায় ২০০৭ থেকে ওই ভূখণ্ডের ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার এই অবরোধ আরো জোরালো করে। গাজার বাইরে থেকে সব ধরণের মানবিক সাহায্য প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। এমনকি গাজার সমুদ্রসীমায় জেলেদের মাছ ধরার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

মাভি মারমারা- ছবি : আনাদোলু এজেন্সি

 

অবরোধ ভাঙতে ২০১০ সালে তুরস্কের এক দাতব্য সংস্থার উদ্যোগে ‘মাভি মারমারা’ নামে এক ত্রাণবাহী জাহাজ গাজা বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় ওই জাহাজে হামলা চালিয়ে ইসরাইলি সৈন্যরা ১০ ত্রাণ কর্মীকে হত্যা করে এবং জাহাজটি আটক করে নিয়ে যায়।

সর্বাত্মক অবরোধের সাথে সাথে গাজায় নেতানিয়াহুর শাসনামলে চার দফা আগ্রাসন চালায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত টানা ১১ দিন গাজায় আগ্রাসন চালায় ইসরাইলি বাহিনী। গাজায় এই আগ্রাসনে মোট ২৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত ও এক হাজার নয় শ' ৪৮ জন আহত হয়েছেন।

গাজায় আগ্রাসন- ছবি : মিডল ইস্ট মনিটর

 

ফিলিস্তিন ইস্যুতে ভূমিকা ও ইসলামী প্রজাতান্ত্রিক শাসন কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের বিরুদ্ধেও শাসনের পুরো সময় জোরালো বিরোধিতা করে এসেছেন নেতানিয়াহু। মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস ছড়ানো ও পরমাণু অস্ত্র অর্জনের বিষয়ে ইরানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবেই অভিযোগ করে আসছিলেন তিনি। দেশটির ওপর সর্বাত্মক অবরোধের জন্য তিনি আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।

২০১৫ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনকালীন সময়ে ইরানের সাথে ছয় দেশের সম্পাদিত পরমাণু চুক্তির প্রবল বিরোধিতা করেন নেতানিয়াহু। পরে ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে তাতে স্বাগত জানান তিনি।

নেতানিয়াহুর সময়েই আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রয়াস নেয়া হয়। বিশেষ করে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ইস্যু গৌণ করার চেষ্ট করেন।

এর অংশ হিসেবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কথিত ‘ইবরাহীমি চুক্তির’ আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ইসরাইল। পরে সুদান ও মরক্কো এই চুক্তিতে যুক্ত হয়।

ইবরাহীমি চুক্তি স্বাক্ষরে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু- ছবি : আনাদোলু এজেন্সি

 

দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকাকালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সম্পদশালী বন্ধুদের কাছ থেকে উপহার ও মিডিয়া টাইকুনদের কাছে প্রশংসামূলক কভারেজের বিনিময়ে তিনি তাদের অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন।

নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ইসরাইলি আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের জেরে জনমত গড়ে উঠে। নেতানিয়াহুর বিরোধীরা তার পদত্যাগের দাবিতে ইসরাইলজুড়ে আন্দোলন শুরু করে। অপরদিকে নেতানিয়াহুর ভক্তরাও তার সমর্থনে সমাবেশ শুরু করে।

এর মধ্যেই ২০১৯ সালের এপ্রিলে ইসরাইলে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু নির্বাচনে কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়।

দেশটিতে সরকার গঠনের জন্য ১২০ আসনবিশিষ্ট আইন পরিষদ নেসেটের ৬১ সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন হয়।

সরকার গঠন নিয়ে সংকটে পর পর আরো তিনবার নির্বাচনের পথে হাঁটে ইসরাইল।

গত ২৩ মার্চ ইসরাইলে গত দুই বছরের মধ্যে চতুর্থ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এতেও কোনো পক্ষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।

দেশটিতে সরকার গঠনের প্রশ্নে ইসরাইলি নেসেটের সদস্যদের সাথে আলোচনা শুরু করেন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট রিওভেন রিভলিন।

প্রথম দফা আলোচনার পর নেসেটের ৫২ সদস্য প্রধানমন্ত্রী পদে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সুপারিশ করায় এপ্রিলের শুরুতে তাকে সরকার গঠনের জন্য প্রথম মনোনয়ন দেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট রিওভেন রিভলিন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জিত না হলেও ওই সময় এটিই ছিল সর্বোচ্চ মনোনয়ন।

কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে নেতানিয়াহুকে সমর্থন করা জিউনিস্ট পার্টি কোনো আরব দলের সাথে সরকার গঠনের অস্বীকৃতি জানানোয় তিনি সরকার গঠনে ব্যর্থ হন।

নেতানিয়াহুর ব্যর্থতার পর ৫ মে নতুন করে নেসেট সদস্যদের সাথে আলোচনা করেন প্রেসিডেন্ট রিভলিন। নতুন আলোচনায় রক্ষণশীল ইয়ামিনা পার্টির প্রধান নাফতালি বেনেতের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগির এক প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে মোট ৫৬ সদস্যের সুপারিশ পান ইয়েশ আতিদ দলের প্রধান ইয়ায়ির লাপিদ।

২ জুন সরকার গঠনে নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার সামান্য আগে ইয়ায়ির লাপিদ সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। নাফতালি বেনেতের ইয়ামিনা দল ও অন্য আরো ছয়টি দলের সাথে দীর্ঘ আলোচনা শেষে সমঝোতার পর তিনি সরকার গঠনের এই ঘোষণা দেন।

আস্থাভোটে পরাজয়ের পর স্থান পরিবর্তন করছেন নেতানিয়াহু- ছবি : এএফপি

 

সরকার গঠনের বিষয়ে রোববার নেসেটের অধিবেশনে সদস্যদের আস্থাভোট নেয়া হয়। আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য জোট সরকারের পক্ষে সমর্থন দেন। এতে ১২ বছর দীর্ঘ শাসনের পর বিরোধী দলের আসনে গিয়ে বসেন নেতানিয়াহু।


আরো সংবাদ



premium cement