২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন ব্রাদারহুড সদস্যরা

মিসরীয় আদালতে ব্রাদারহুড সদস্যরা - ছবি : সংগৃহীত

মিসরে কায়রো ও আলেকজান্দ্রিয়ার কারাগার থেকে বেশ কয়েকজন বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে মুক্তির আদেশ দিয়েছে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে দেশটির প্রভাবশালী ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরাও রয়েছেন।

বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির কাছে মঙ্গলবার এক সাক্ষাতকারে এই তথ্য জানান প্রবাসী মিসরীয় আইনজীবী মাহমুদ জাবের।

আদালা ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যান রাইটসের পরিচালক এই আইনজীবী বলেন, 'আলেকজান্দ্রিয়া থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে বিচার বিভাগ সম্প্রতি কয়েক দিনের মধ্যে ৬২ থেকে ৭২ বিরোধী সদস্যদের (মুসলিম ব্রাদারহুডের) মুক্তির আদেশ দিয়েছে।'

তিনি বলেন, দলটির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা হোসনি জিবরিলসহ বেশ কয়েকজন সদস্য ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়া আরো কয়েকজন মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।

এর আগে সোমবার পূর্ব সিনাই উপদ্বীপে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযানে বিজয় উদযাপন উপলক্ষে মিসর মোট দুই হাজার ছয় শ ৭৪ বন্দীকে কারাগার থেকে প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় মুক্তির আদেশ দেয়া হয়।

তবে মুসলিম ব্রাদারহুড সদস্যদের এই সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি দেয়া হচ্ছে কিনা তা এখনো অস্পষ্ট বলে জানান মাহমুদ জাবের।

মিসরীয় কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। তবে দেশটির কারাগারে কোনো রাজনৈতিক বন্দী থাকার কথা অস্বীকার করে তারা, যা মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

এর আগে সোমবার মিসরের কারাগারে ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানায়। ২০১৩ সালে দেশটির গিজা প্রদেশের কেরদাসা শহরে ১৩ পুলিশ সদস্য হত্যার দায়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট নয় জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ২০১৩ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সামরিক কর্তৃপক্ষ তার দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং দলটির ওপর দমন অভিযান শুরু করে।

সূত্র : ইয়েনি শাফাক


আরো সংবাদ



premium cement