২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সৌদিতে তেলের টার্মিনালে মিসাইল হামলায় আগুন

জিজান প্রদেশে ইয়েমেন সীমান্তে সৌদি সীমান্তরক্ষী - ছবি : ডয়েচে ভেলে/এএফপি

দক্ষিণ সৌদি আরবে এক তেলের টার্মিনালে মিসাইল হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেন সীমান্তের জিজান প্রদেশের ওই তেলের টার্মিনালে হামলার পরই সেখানে আগুন ধরে যায় বলে এক বিবৃতিতে জানায় দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জিজানে পেট্রোলিয়াম টার্মিনালে মিসাইল হামলা করা হয়েছে। হামলার ফলে টার্মিনালের একটি ট্যাঙ্কে আগুন ধরে গেলেও কেউ হতাহত হননি।

এ বিবৃতিতে অবশ্য জানানো হয়নি যে, কারা এই হামলা করেছে। তবে ইয়েমেনে সৌদি জোটের সামরিক হস্তক্ষেপের ষষ্ঠ বার্ষিকীর ঠিক আগে এই হামলা করা হলো।

সম্প্রতি হাউছি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবে বিশেষ করে তেল স্থাপনাগুলোতে বেশ কয়েকবার ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ মারিব শহর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য স্থল হামলা শুরু করেছে সশস্ত্র এই দল।

তারা ইয়েমেনের মারিব শহরও সৌদির নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। এখানে প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়।

এর জবাবে সৌদি-জোটও হাউছিদের সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা করেছে। তবে ইয়েমেনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি সৌদি আরব নতুন করে উদ্যোগী হয়েছে। তারা জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে পুরো ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির কথাও বলেছে। বিমান ও সমুদ্রপথ খুলে দেয়ার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু হাউছিদের দাবি, এ উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। অবরোধ পুরোপুরি তুলে নিতে হবে।

বিবাদমান পক্ষগুলোর দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৪ সালের শেষে ইরান সমর্থিত উত্তর ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করলে প্রেসিডেন্ট হাদি সৌদি আরবে আশ্রয় নেন। ২০১৫ সালের মার্চে সৌদি নেতৃত্বের জোট হাউছিদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে আগ্রাসন করলে দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের মুখে পড়ে আরব উপদ্বীপের দরিদ্রতম দেশটি।

পাঁচ বছরের বেশি সময় চলমান এই গৃহযুদ্ধে হাউছি নিয়ন্ত্রিত সানাকেন্দ্রীক উত্তর ইয়েমেন ও বন্দর নগরী এডেনকেন্দ্রীক দক্ষিণাঞ্চলীয় সরকারের অধীন দক্ষিণ ইয়েমেনে বিভক্ত হয়ে পড়ে। যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হয়েছে ইয়েমেনে সাধারণ মানুষ।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement