২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিবাহবিচ্ছেদ সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

বিবাহবিচ্ছেদ সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? - ছবি সংগৃহীত

সব দেশেই এখন বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছে। যার থেকে বাদ পড়ছে না মুসলিমপ্রধান দেশগুলোও। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে মুসলিম বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে সৌদি আরবে।

দেশটিতে চলতি বছর প্রতি ঘণ্টায় সাতটি করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে। সংখ্যাটি অন্যান্য বছর থেকে অনেক বেশি।

২০১৮ সালে আল হায়াত পত্রিকা সৌদি আরবের আইন মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, দেশটিতে প্রতি মাসে বিয়ে হয় ১০ হাজার। আর বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে পাঁচ হাজার।

বাহরাইনে ২০১৫ সালে বিবাহ নিবন্ধন করা হয়েছে পাঁচ হাজার। আর বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে দুই হাজারেরও বেশি। বাহরাইনের বিচার ও ইসলামি বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে বাহরাইনে বিয়ে হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার। আর বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে এক হাজারেরও বেশি। এ দেশে বিয়ের চেয়ে বিচ্ছেদের হার ৪০ ভাগ বেশি।

ওমান কিংডমের জাতীয় পরিসংখ্যান কেন্দ্র জানিয়েছে, তাদের দেশে ২০১৯ সালে ১৮ হাজার ২৪৩টি বিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছে। আর বিচ্ছেদের রেকর্ড আছে ৩৭২৮টি। এর অর্থ হলো, ওমানে গত পাঁচ বছরের মধ্যে বিয়ের সংখ্যা এখন সর্বনিম্ন অবস্থায় রয়েছে, বিবাহবিচ্ছেদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, প্রতিদিন গড়ে দশটিরও বেশি পরিবার ভেঙে যাচ্ছে।

কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে আরব আমিরাত। এ দেশে বিচ্ছেদের ঘটনা স্বাভাবিক রয়েছে। আরব আমিরাতের সরকারি সূত্র বলছে, ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসে তাদের দেশে বিবাহবিচ্ছেদের হার ৫১.৮ ভাগ কমেছে।

কুয়েতের আইন মন্ত্রী একটি সমীক্ষা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ২০২০ সালে তাদের দেশে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে ৮.৯ হাজার। অথচ, ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৫ হাজার।

কাতারের পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান সংস্থা জানিয়েছে, তাদের দেশে বিয়ে এবং বিচ্ছেদ দুটিরই সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে। দেশটির সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, কাতারি নাগরিক ও প্রবাসীদের মধ্যে বিবাহের সংখ্যা ৩৮ ভাগ কমেছে।
আর স্থানীয় নাগরিক ও প্রবাসীদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা বছরে ৭৫ ভাগ কমেছে।

দুবাই পরিসংখ্যান কেন্দ্রের মতে, গত চার বছরে দুবাইতে বিবাহ বিচ্ছেদের হার ৩৫ ভাগ কমেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে সৌদি আরবে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেড়ে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। দেশটির পরিবারবিষয়ক পরামর্শক মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল-কুরানি জানান, বিবাহবিচ্ছেদের হার বেড়ে যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বিয়ের অবমূল্যায়ন, সত্যিকার সম্পর্ক ও দায়িত্বের প্রতি অবহেলা এবং রাতে দেরি করে স্বামীর ঘরে ফেরা।

আল-কুরানি বলেন, যেসব নারী বাইরে চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্য করে, ধীরে ধীরে তারা ঘরে সময় দেয়া কমিয়ে দেয়। বাইরে থেকে যখন ঘরে ফেরে, তখন পরিবার, স্বামী ও সন্তানের পেছনে সময় ব্যয় না করে মোবাইলে সময় নষ্ট করে। যার কারণে তাদের দাম্পত্য জীবন নষ্ট হয়ে যায়। একপর্যায়ে বিবাহ বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়।

সূত্র : উর্দু নিউজ, আল আরাবিয়া


আরো সংবাদ



premium cement
‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ সংবিধান বিরোধী নয় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুরের ইন্তেকাল থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সাথেপ্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে : নসরুল হামিদ গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের

সকল