২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইসরাইলকে ‘বর্ণবাদী রাষ্ট্র’ হিসেবে চিহ্নিত করলো দেশটির মানবাধিকার সংগঠন

ইসরাইলকে ‘বর্ণবাদী রাষ্ট্র’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশটির মানবাধিকার সংগঠন - ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনিদের উপর ইহুদিদের অগ্রাধিকার দেয়ার ইসরাইলি নীতির সমালোচনা করে ইসরাইলকে একটি ‘বর্ণবাদী রাষ্ট্র’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশটির একটি মানবাধিকার সংগঠন। মানাবাধিকার সংগঠন বিতসেলেম তাদের লিখিত প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরাইলি নীতি, আইন ও এসবের প্রয়োগ হয় ইহুদি আধিপত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

সংগঠনটি জানায়, ‘আড়ালে থাকা সত্য হলো, ভূমধ্যসাগর ও জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী পুরো অঞ্চলটি ফিলিস্তিনিদের মাড়িয়ে শুধুমাত্র ইহুদিদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা ও একে আরো মজবুত করার একক নীতিতে সংগঠিত।’

‘যে সরকার একটি গোষ্ঠীর ওপর অন্য একটি গোষ্ঠীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আইনকে ব্যবহার করে ও সহিংসতা চালায় সেটি বর্ণবাদী সরকার’, সংগঠনটি জানায়।

বিতসেলেমের এ ঘোষণার ব্যাপারে ইসরাইল সরকারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মানবাধিকার সংগঠনটি উল্লেখ করে, ইসরাইল ১৯৬৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীর থেকে প্রায় আড়াই লাখ ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করেছে।

তারা জানায়, ‘আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, সমন্বিত এ ব্যব্স্থা, আইন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের পদচারণা, আর তাদের প্রাপ্ত সরকারি ও বিচারিক সেবা সবকিছু ইসরাইলকে একটি বর্ণবাদী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করতে বাধা দেয়।’

‘একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে অস্থায়ীভাবে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে দখলকারী ইসরাইল রাষ্ট্রের ধারাবাহিক বিবরণ হলো এমন যার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।’

১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের প্রায় তিন দশক পর ১৯৬৭ সালে ইসরাইল পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুসালেম ও গাজা উপত্যকা সহ ফিলিস্তিনের অঞ্চলগুলো দখল করে।

ফিলিস্তিনিরা ভবিষ্যত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য এ অঞ্চলগুলো ফেরত চায়।

জেরুসালেমসহ পশ্চিম তীরে ইসরাইল বসতি স্থাপন করেছে। প্রায় ছয় লাখ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী এ এলাকাগুলোতে বসবাস করছে।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি


আরো সংবাদ



premium cement

সকল