২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ফাখরিজাদেহর হত্যায় ইরানের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান সৌদির

ফাখরিজাদেহর হত্যায় ইরানের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান সৌদির - সংগৃহীত

ইরানের বিশিষ্টি পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে হত্যার ঘটনায় ইরানের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল-জুবায়ের।

আরব নিউজের খবরে জানা যায়, মঙ্গলবার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী টুইট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফ তার দেশের যে কোনও নেতিবাচক ঘটনার জন্য সৌদি আরবকে দোষারোপ করতে মরিয়া হয়ে থাকেন। পরবর্তী ভূমিকম্প বা বন্যার জন্য কি তিনি দায়ী করবেন।

টুইটে তিনি আরও যোগ করেন, সৌদি আরবের নীতি হত্যার সঙ্গে জড়িত নয়, ইরানের মতো নয়, যা ১৯৭৯ সালে খোমেনি বিপ্লবের সময় করেছিল।

আমাদের জিজ্ঞেস করুন এবং অন্য দেশগুলোকে জিজ্ঞাসা করুন, ইরানের অপরাধী ও বেআইনি কার্যক্রমের কারণে তাদের অনেক নাগরিককে হারিয়েছে, যোগ করেন জুবায়ের।

এর আগে ইরানি পররাষ্ট্র বলেছিলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি যুবরাজের যে বৈঠক হয়েছে মোহসেন ফাখরিজাদেহ হত্যাকাণ্ডে তার ভূমিকা থাকতে পারে।

ইন্সটাগ্রামে দেওয়া পোস্টে জারিফ বলেন, তাড়াহুড়া করে এই অঞ্চলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর, সৌদি আরবে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক এবং নেতানিয়াহুর বক্তব্য একটি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়। দুর্ভাগ্যক্রমে শুক্রবারের কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলায় দেশের একজন শীর্ষ নির্বাহীর শাহাদাত বরণের মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন ঘটেছে।

এদিকে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি পার্লামেন্ট একটি বিল পাস করেছে। এর মাধ্যমে দেশটি ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ পর্যন্ত মজুত করত পারবে। এই বিল পাসের মাধ্যমে জাতিসংঘ ইরানের পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন করতে পারবে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে হত্যার ঘটনার পরেই তেহরান এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটির অভিযোগ, প্রতিবেশী দেশগুলো ফাখরিজাদেহকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে।

ইসরাইলি এবং পশ্চিমা বহু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, গত রোববার সৌদি আরবের নিওম শহরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে গোপন বৈঠক হয়েছে। খবরে বলা হয়, ওই বৈঠকে ইরান নিয়ে তাদের দুই দেশের উদ্বেগের বিষয়টি আলোচনায় স্থান পেয়েছে। ফলে ফাখরিজাদেহ হত্যাকাণ্ডে ওই বৈঠকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ইসরাইল ও সৌদি আরব দুই দেশই ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনের ঘোর বিরোধী।

 


আরো সংবাদ



premium cement