১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রাচীন কূপে আড়াই হাজার বছরের পুরনো কফিনের সন্ধান

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কবর দেয়ার পর এগুলো কখনো খোলা হয়নি। - ছবি : বিবিসি

মিসরে প্রাচীন এক গোরস্থানে আড়াই হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে কবর দেয়া ২৭টি শবাধার বা কফিন উত্তোলন করা হয়েছে।

রাজধানী কায়রোর দক্ষিণে সাক্কারা এলাকার একটি পবিত্র স্থানে সদ্য সন্ধান পাওয়া কূপের ভেতরে পাথরের তৈরি এসব শবাধারের খোঁজ পাওয়া যায়।

কর্মকর্তারা বলছেন, এ মাসের শুরুর দিকে তোলা হয় ১৩টি কফিন। তার পরে আরো ১৪টি শবাধার মাটির নিচ থেকে ওঠানো হয়েছে।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছেন, মিসরে এতো ব্যাপক সংখ্যায় শবাধার এর আগে খুব কমই তোলা হয়েছে।

কফিনগুলোর যেসব ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে এগুলো কাঠের তৈরি। এসবের গায়ে নানা রঙ দিয়ে নকশা আঁকা। এগুলোর সাথে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি মামিও রয়েছে।

সাক্কারার এই সমাধিক্ষেত্রে তিন হাজার বছর ধরে লাশ কবর দেয়া হতো। এটি জাতিসঙ্ঘের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।

‘প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, এসব কফিন পুরোপুরি বন্ধ এবং কবর দেওয়ার পর এগুলো কখনো খোলা হয়নি,’ মিসরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে শনিবার একথা বলা হয়েছে।

‘আরো গোপন কিছু’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, পুরাতত্ত্ববিষয়ক মন্ত্রী খালেদ আল-আনানি এই কফিন খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দিতে বিলম্ব করেছেন। তিনি নিজে ওই গোরস্থানটি পরিদর্শন করে দেখার পর সদ্য আবিষ্কৃত এসব শবাধারের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা ৩৬ ফুট গভীর কূপের ভেতরে নেমে এসব কফিন উপরে নিয়ে আসেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই কাজটি তাদের জন্য খুব একটা সহজ ছিলো না।

সাক্কারা গোরস্থানে খননকাজ এখনো চলছে। বিশেষজ্ঞরা এসব কফিনের বিষয়ে আরো তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।

এসব কফিনে কবে, কাদের কবর দেয়া হয়েছে, কেন এগুলো কখনো খোলা হয়নি- এসব প্রশ্নকে ঘিরে যেসব রহস্য তৈরি হয়েছে কর্মকর্তারা এখন সেসব ভেদ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

মন্ত্রণালয় বলছে, তারা আশা করছেন, ভবিষ্যতে এসব কফিনের রহস্য ভেদ করার পর সেগুলো সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরা সম্ভব হবে।

এসব কফিনের পাশাপাশি কূপের ভেতর থেকে আরো যেসব পুরাতাত্ত্বিক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলোও খুব সুন্দর নকশা করে তৈরি, গায়ে রঙ করাও।

এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রত্নতত্ত্ববিদরা সাক্কারার স্টেপ পিরামিডের কাছ থেকে মামি করা বেশ কিছু প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।

এসব প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বিড়াল, কুমির, গোখরা সাপ এবং পাখি।

রাজধানী কায়রো থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এই সাক্কারা।

প্রাচীন মিসরের রাজধানী মেমফিসের লোকজন এই এলাকাটিকে তাদের গোরস্থান হিসেবে ব্যবহার করতো।

পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে মিসরে সম্প্রতি এধরনের পুরাকীর্তি খুঁজে বের করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে গেলো বাস, ইঞ্জিনিয়ার নিহত গোয়ালন্দে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে মারধর, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সিরিয়ায় আইএস-এর হামলায় সরকার সমর্থক ২০ সেনা সদস্য নিহত ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু জনসমর্থনহীন সরকার জনগণের আওয়াজ নির্মমভাবে দমন করে : রিজভী

সকল