১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ধান হয় সৌদি আরবে!

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ধান হয় সৌদি আরবে! - ছবি : সংগৃহীত

কাদা, মাটি, পানি, উপযুক্ত আবহাওয়া এসবই ধান চাষের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কৃষকরা নিপুণ হাতে ধানের চারা রোপণ করেন। এরপর কয়েক মাস লেগে যায় হাতে ফসল পেতে। তবে সৌদি আরবেরও মতো বালুকাময় মরু দেশেও যে ধান উৎপাদন হয় তা শুনে অবাক হতেই হয়।

সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চল আল আহসা হাসাভি নামের লাল চালের জন্য পরিচিত। আর সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয়টি হলো, এই ধানটিই বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ধান। আল-আহসার কৃষকরা প্রতি বছর গ্রীষ্মের পরে বিশেষ করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস ধানের চারা রোপণ করেন। এর আগে তারা মাটি প্রস্তুত করতে শুরু করেন।
সৌদি কৃষক আবদুল হাদি আল সালমান বলেন ‘আমরা এই চাল উৎপাদন করি, নিজেরাও খাই এবং অন্যদের খাওয়াই। কিছুটা বিক্রিও করি। এগুলো আমাদের কাছে সোনার ফসল।’

শর্করা প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ এই লাল চাল পুষ্টিগুণে ভরা। বাত এবং হাড়ের অসুখ নিরাময়ে দারুণ কার্যকরী হাসাভি ধান। এ প্রজাতির ধান সাধারণত গরম অঞ্চলে জন্মায়। এটি চাষে সর্বোচ্চ ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন পড়ে। তাপমাত্রা কম হলে এই ধানের বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ে এবং তা সম্পূর্ণ বেড়ে উঠতে পারে না।

বিশ্বের বিরল এই লাল চালের ধানের জাতটি বর্তমানে পানির অভাবে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। তার কারণ ভালো পরিমাণে পানি ছাড়া এই ধানের চাষ সম্ভব নয়। এই ধানের চারা রোপণ করতে হয় অতিরিক্ত পানিতে। সপ্তাহে পাঁচ দিন হাসাভি ধানের গাছে পানি দিতে হয়। যদিও এর শেকড় দীর্ঘ সময় পানি ধরে রাখতে পারে।

সূত্র : পূবের কলম

 


আরো সংবাদ



premium cement