২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র!

মাইক পম্পেও - সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র করোনভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় ইরান ও অন্য দেশগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা নিয়ে যে জল্পনা কল্পনা চলছিল, তা উড়িয়ে দেননি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তার মঙ্গলবাবের মন্তব্যটি বুধবার আল জাজিরায় প্রকাশিত হয়েছে। তবে কখন তা প্রত্যাহার হতে পারে সে ব্যাপারে তিনি কোনো তারিখ প্রকাশ করেননি।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দেশটিকে কঠোর সমালোচনার মুখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পম্পেও জোর দিয়ে বলেছেন, ২০১৮ সালে ইরানি পরমাণু চুক্তি থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে সরে আসার পর ওয়াশিংটন নতুন করে যে অবরোধ আরোপ করে, তাতে মানবিক ও চিকিৎসা সামগ্রীর সরবরাহকে বাদ রাখা হয়েছে।
কিন্তু গত অক্টোবরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, আর্থিক লেনদেনের ওপর ব্যাপকভিত্তিক বিধিনিষেধ, মার্কিন কর্মকর্তাদের আগ্রাসী বাগাড়ম্বড়তার ফলে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীসহ মানবিক পণ্য আমদানির আর্থিক সক্ষমতা ইরানি প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

বর্তমানে ইরানও করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। করোনায় দেশটির অন্তত ২,৮৯৮ জন মারা গেছে।

পম্পেও একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "আমরা আমাদের সব নীতিই ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করি। সুতরাং আমরা কি নিষেধাজ্ঞার ব্যাপার পুনর্বিবেচনা করব? এই প্রশ্নের উত্তর হলো 'অবশ্যই'।

পম্পেও আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাগুলো চিকিত্সা, অন্যান্য মানবিক পণ্য ও জাতীয় ত্রাণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

ট্রাম্প প্রশাসন ইরানকে তার পারমাণবিক, ক্ষেপণাস্ত্র ও আঞ্চলিক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে 'সর্বাধিক চাপ' নীতি অনুসরণ করছে।

ইরানের পরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইটার এক বার্তায় অভিযোগ করে বলেছে আমেরিকা চিকিৎসা সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে। সোমবার পাম্পেওয়ের মুখপাত্র মরগান অর্টাগাস তার টুইটারে বার্তা কপি করে ইরানের উদ্দেশে বলেন, 'মিথ্যা বলা বন্ধ করুন'। ... এটি নিষেধাজ্ঞাগুলি নয়। এটা শাসনব্যবস্থা। '

মঙ্গলবার ইউনাইটেড ইউনিয়ন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে ইরান, উত্তর কোরিয়া ও ভেনেজুয়েলায় ক্ষুধার্ত জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা নিশ্চিত যায়।

ইতোমধ্যে পাম্পেও ইরান নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন।

সূত্র : আল জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement