২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
চি ঠি প ত্র

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মানুষের হাতে পয়সা দিন

-

বেসরকারি চাকরিজীবীদের চাকরি চলে গেছে বা বেতন কমেছে। করার কিছু নেই। প্রতিষ্ঠানে আয় কমেছে। ব্যবসায়ীরা মাথায় হাত দিয়ে ভবিষ্যতের আশায় তাকিয়ে রয়েছেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির জেরে সারা বিশ্ব জর্জরিত। সে ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। বেকারত্ব ও চাকরি হারানো দিন দিন বাড়ছে। অসংগঠিত শ্রমিকরা তেমনভাবে কাজ পাচ্ছেন না। বিক্রির বাজার খুবই খারাপ। মানুষের হাতে টাকা নেই। সবাই দৌড়াচ্ছে টিসিবির ট্রাকের পেছনে। তার আবার লাইন শেষ হওয়ার আগেই মালামাল শেষ।
খালি হাতে প্রত্যাশীদের অনেক দুঃখ-কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফেরত যেতে হয়। না খেয়ে অনেক গরিব-মধ্যবিত্ত পরিবারের নীরব কান্না সরকার বুঝলেও সরকারের গুটিকয়েক মন্ত্রীর প্রতিদিনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য বেদনাদায়ক ও হাস্যকর। সমাজের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাতে টাকা নেই। তারা জমা টাকা খরচ করে অথবা ধার-কর্জ করে কোনোরকমে ঘরসংসার চালাচ্ছে। অথচ জ্বালানি ও খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে সবাই হিমশিম খাচ্ছে। পরিবারে পরিবারে হাহাকার। অতিমারীজনিত তীব্র আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়ে তাই মানুষজন বাজারে গিয়ে বেহুঁশ। খরচ কমিয়ে কোনোরকম সংসার চালানো এখন দায়। নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এ অবস্থায় দেশের জনগণ ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নায্যমূল্যের বা রেশনের দোকান চালুকরণের দাবি জানায়।
সরকারকে যেকোনো মূল্যে জনগণের কথা শুনতে হবে। জনগণের বর্তমান দৈন্যদশা পরিবারে পরিবারে মানুষের হাতে টাকা দেয়ার দাবি জানাই। দেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত বড় সংস্থা এবং বিত্তবান মানুষের জন্য ঘুরে দাঁড়াচ্ছে; কিন্তু সমাজের নিচু তলার দিকে বিরাট অংশ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। ছোট সংস্থাগুলোর কাছে পুঁজি না থাকায় তারা বিপর্যস্ত। ছোট ও মাঝারি শিল্প পুঁজির অভাবে ধুঁকছে যে কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে আয়ের সার্বিক বন্ধনে সরকারকে গুরুত্ব দিতেই হবে। বাজেটে মূল্যবৃদ্ধি নয়, মূল্য হ্রাসের বাজেট উপহার দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার রেশন দিতে না পারলে সমাজের একেবারে প্রান্তিক অবস্থানে থাকা পরিবারগুলোকে মাসে সাত-আট হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য দেয়া যেতে পারে। যেহেতু সরকারের হাতে টাকা ছাপানোর উপায় রয়েছে তখন এই পন্থা অবলম্বন করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে তেমন বেগ পেতে হবে না। একশ্রেণীর অর্থনীতিবিদ সরকারি ব্যয়ভার বাড়ানোর ঘোর বিরোধী। তাদের মতে, পরিকল্পনাবহির্ভূত খাতে ব্যয় বরাদ্দ ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে আনতে হবে। না হলে দেশের অর্থনীতি ওপর আঘাত চলে আসবে।
সরকারি অফিস- আদালতে দুর্নীতি ও ঘুষ কমাতে না পারলে দেশের কিছু উইপোকা গিলে ফেলবে তখন কোনো উপায় থাকবে না। তাই এই করোনার জেরে গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মাসে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য বা অনুদান বা সমপরিমাণ অর্থের রেশনের ব্যবস্থা সরকার করবে, এটাই সবার কাম্য।

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
গণমাধ্যমকর্মী,
১৭, ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া,
ঢাকা- ১২০৪

 


আরো সংবাদ



premium cement
জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ

সকল