২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সংলাপ করতে হবে কার সাথে

-

দেশের নেতা খাঁটি কথা বলেছেন, ‘নির্বাচন হবে সংবিধান অনুসারে’। এর ব্যবহারিক অর্থ, আসলে নির্বাচন হবে না। একটি খেল-তামাশা হবে। ‘নিশি’ ভোট দেবে। সেই কবে ২০১৩ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বাংলাদেশে এসে রওশন এরশাদকে পরিষ্কার করে ও এবং এরশাদকে গলফ খেলার চিকিৎসা দিয়ে সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করে দিলেনÑ খেলা শুরু হয়ে গেল। দেশটা জনগণের হাত থেকে খসে পড়ে ‘মৌরুসি-পাট্টা’ হলো। ভোটের আগেই ১৫৪ আসনে ‘জিতে’ আওয়ামী লীগ গরিষ্ঠতা পেল। তবে শতকরা ৫ জনও ভোট দেয়নি। অথচ হিসাবে অনেক কাস্ট্রিং দেখানো হয়েছিল। ‘লাখে লাখে সৈন্য মরে কাতারে কাতার গুনিয়া দেখি ৪০ হাজার।’ সেই এক কথা, ভারত না চাইলে আমাদের দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। সংলাপ করতে হবে ভারতের সাথে। বিএনপি নির্বাচনে গেলে তিন-চার শ’ ভোট পাবে। আর আওয়ামী লীগ পাবে দেড়/পৌনে দুই লাখ। জনগণ ভোট না দিলে নির্বাচন কমিশনের কী করার আছে! গৃহপালিত দল নির্বাচনকে বৈধতা দিতে ও প্রাপ্তির লোভে ভোটে যাবে। আরো দল আসতে পারে। ভাত ছিটালে কাউয়ার অভাব হয় না।
ভারত যেভাবে চাবে সেভাবে হবে। দিল্লি গিয়ে সাতটি আসন ম্যানেজ করেছিলেন কেউ কেউ। না হলে তাও জুটত না। এই সরকার হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট, সংবিধান দেখায়Ñ দিল্লিø দেখায় না। দিল্লি গিয়ে পুণ্য ‘জল’ খেয়ে আসুন। ভারতের পরলোকগত প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই মূত্র দিয়ে ওষুধ বানাতেন। এ রকম একটা ওষুধ পেলে উপকার হবে। ভারত আমাদের প্রিয় বন্ধু। একজন বলেছিলেন, তাদের সাথে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক।
মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন,
নূরীয়া লাইব্রেরি, ঝালকাঠি


আরো সংবাদ



premium cement