১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কোভিড-১৯ ‘ভাগ্য খুলে দিয়েছে’

-

কোভিড-১৯-এর কারণে সরকার মনে হয়, ব্যবসা করে নিয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের লুটপাটের কাহিনী সবাই জেনে গেছেন। দলীয় লোকেরা ত্রাণের লুট করা টাকা দিয়ে গাড়ি-বাড়ি করে নিয়েছেন। এর ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে এবং ওই লুটপাটের অর্থ নেতাকর্মীদের পকেটে গচ্ছিত থাকায় ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনেও এখনকার সরকারি দলের ভাগ্যে হয়তো বিশাল বিজয়ের মালা। তবে কোভিডের অজুহাতে আগামী নির্বাচন যথাসময়ে হবে কি না সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। আবার সেই নির্বাচন যথাসময়ে জোর করে হলেও করা হতে পারে। আন্দোলন করতে গেলে ‘জুজুর ভয়’ করোনার শনাক্ত ও মৃত্যুর হার তো সরকারের হাতেই থাকছে। বিরোধী দল আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া মাত্রই সরকারের হাতে-ই থাকা স্টিয়ারিং হিসেবে যথাসময়ে লকডাউন দিয়ে দিলেই বিরোধী দলের আন্দোলন থমকে যাবে। বিরোধী দল যাতে আন্দোলন না করতে পারে, অপর দিকে গত নবম ও দশম জাতীয় নির্বাচনে যেভাবে বৈতরণী পার করা হয়েছিল, সেইভাবেই নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার জন্য সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগাম প্রণোদনা দিয়ে রাখা হচ্ছে, যা জনগণের অর্থের অপব্যবহার। বিশেষ করে যারা গত নবম ও দশম জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী করতে ‘বিশেষ ভূমিকা’ রেখেছে সেসব বিশেষ বাহিনীকে বিশেষ পুরস্কার দিয়ে সন্তুষ্ট করে রাখা হচ্ছে যাতে তারা আবারো আগামী নির্বাচনেও একই দলকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করাতে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। ওই দু’টি জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে সারা বাংলাদেশের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের চার পাশে ত্রাস সৃষ্টি করার ব্যাপারে ছাত্রলীগকে বিশেষ সহায়তা দিয়েছিল কারা? তাদেরই বিশেষ পুরস্কার দিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অতএব, বিরোধী দলের নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো আন্দোলন হবে না এবং নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগই।
তরফদার আলী আজগর
অব: ব্যবস্থাপক, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, সর্দারপাড়া, যশোর


আরো সংবাদ



premium cement