শিক্ষা বর্ষ শেষ করতে একটি প্রস্তাব
- ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
করোনা মহামারীর কারণে পাবলিক পরীক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা গ্রহণ করা না গেলে শিক্ষাবর্ষে জট লাগবে। এ জট নিরসনে একজন শিক্ষক হিসেবে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরছি- পাবলিক পরীক্ষা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কিংবা এক প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি প্রতিষ্ঠানে ভেনু করে, কেন্দ্রে প্রশাসনিক তদারকি বাড়িয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে সরকারি কর্মকর্তাকে তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করে, এক বেঞ্চে একজন পরীক্ষার্থী বসার বিধান করে, মাস্ক পরে, কেন্দ্রে প্রবেশের আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রতিদিন পরীক্ষা শেষে ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি স্প্রে করে জীবাণু মুক্ত করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে।
প্রয়োজনে ৫০ শতাংশ প্রশ্ন করে একদিনে দুই বিষয়ের পরীক্ষা একসাথে নেয়া যেতে পারে ফলাফল প্রকাশের সময় প্রতি বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বরকে দ্বিগুণ করে ফল প্রকাশ করা হবে। প্রাতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ২৫/২০ নম্বরের এককথায় উত্তর অথবা সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন করে ৪/৫ বিষয়ের পরীক্ষা একসাথে একই দিনে নেয়া যেতে পারে। উত্তরপত্র আলাদা আলাদা হবে যাতে বিষয় শিক্ষক আলাদাভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে পারেন। একদিন একশ্রেণীর পরীক্ষা হবে। মধ্যখানে বিরতি বেশি থাকবে যেন প্রতি পরীক্ষায় চার বিষয়ের প্রস্তুতি নিতে পারে এবং এক বেঞ্চে একজন বসিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা দিতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ে অন্যান্য বিষয়ে সার্বিক মূল্যায়ন নম্বর দেয়া যেতে পারে। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া বিলম্বিত করা যেতে পারে। এতে পরবর্তী বছরের শিক্ষাবর্ষ এক মাস কমলেও তেমন অসুবিধা হবে না। এর মধ্যে করোনা টিকার উদ্ভাবন হলে সর্বাগ্রে ছাত্র-শিক্ষকদের টিকা দিতে হবে।
অধ্যক্ষ, ফুলগাঁও ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা
লাকসাম, কুমিল্লা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা