অনলাইন ক্লাস
- ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০২:১৬
১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়তো অনলাইন ক্লাস নিচ্ছে। অনেক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল কলেজ এটা পুরোদমে ক্লাস হচ্ছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত এবং নিম্নœ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। অনেকেরই স্মার্টফোন নেই। ডাটা প্যাকের দামও অনেক।
করোনার কারণে সব শিক্ষার্থী নিজ বাড়িতে আছে। গ্রামে ঘরের ভেতর ফোনে কথা বলার মতো নেটওয়ার্কই থাকে না। ক্লাস করতে বাইরে যেতে হয়। এখন বর্ষাকাল, গ্রামের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ছাতা মাথায় ক্লাস করে। আর যাদের স্মার্ট ফোন নেই তারা তো ক্লাস করতে পারছে না। এই বৈশ্বিক মহামারীতে যখন দুই বেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকাটাই অনেক বড় ব্যাপার সেখানে অনলাইনে ক্লাসের ব্যাপারটা অনেকটা প্রহসনের মতো। মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে শিক্ষা সর্বশেষ। তাই এর আগের চারটি মৌলিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করতে হবে আগেই।
বিশ্বের কোন দেশে কি হচ্ছে তা না ভেবে নিজ দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা উচিত। যদি ১০০% শিক্ষার্থীকেই অনলাইন ক্লাসের আওতায় আনা সম্ভব হয়, তাহলেই এই ব্যাপারে ভাবা উচিত। ইউজিসির নতুন নীতিমালা অনুযায়ী অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার জন্য সরকারি সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
করোনার কারণে এমনিতেই অর্থনীতি স্থবির; তার ওপর অনেক জেলা বন্যাকবলিত। এই অবস্থায় দেশের মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা বেশি প্রয়োজন। যেখানে বেঁচে থাকাটা বড় ব্যাপার সেখানে অনলাইন প্রহসনটা বন্ধ করা উচিত নয় কি?
সুকান্ত দাস
পরিসংখ্যান বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা