মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডকে অভিনন্দন
- ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০
ভারতে মাদরাসা শিক্ষার রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। আমাদের এই উপমহাদেশে আলিয়া মাদরাসার ইতিহাস প্রায় আড়াই শ’ বছরের। মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে অনেক উন্নত ও আধুনিক। এখন মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাস আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের। এখানে কুরআন, হাদিস, ফিকহ ও আরবি সাহিত্য ছাড়াও সাধারণ সব বিষয় পড়ানো হয়। মাদরাসা শিক্ষার্থীরাও কলেজ, ইউনিভার্সিটি, মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পায়। এটা মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অবদান। একসময় এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার তিন-চার দিন পর দাখিল বা আলিম পরীক্ষার ফল বের হতো। কিন্তু এখন সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ড একই দিনে একই সময়ে, একই নিয়মে ফলাফল প্রকাশ করে থাকে। মাদরাসার শিক্ষার্থীদের অবহেলা করার সুযোগ নেই, কারণ মাদরাসায় বাংলা ২০০ নম্বর, ইংরেজি ২০০ নম্বর ও আরবি ২০০ নম্বর পড়ানো হয়। ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষায়ও মাদরাসা এখন এগিয়ে। মাদরাসায় পড়ালেখা করেও কলেজ স্নাতক শ্রেণীতে পাঠদান করতে পারছি। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ইবতেদায়ি, জেডিসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষা হচ্ছে। পরিতাপের বিষয়Ñ সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাস ব্যাপক হওয়ার পরও মাদরাসায় মানবিক বিভাগের পরিবর্তে ‘সাধারণ’ বিভাগ বলা হয় আর বিজ্ঞান বিভাগ একেবারে নগণ্য অথবা নেই বললেই চলে। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালুই করা হয়নি। তাই প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধÑ মাদরাসায় বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালু করুন। প্রত্যেক মাদরাসায়ই মেধাবী অনেক শিক্ষার্থী আছে; তাদের প্রতি কেন অবহেলা?
মো: আলমগীর হোসেন
প্রভাষক, দল্টা ডিগ্রি কলেজ, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা