১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড : নেপাল থেকে ফিরে যা বললেন ডিবি প্রধান

ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ - ফাইল ছবি

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে ‘নৃশংসভাবে’ হত্যার পর তার দেহের বিভিন্ন অংশ পৃথক করা সন্দেহভাজন সিয়াম ও জিহাদকে গ্রেফতার করেছে নেপাল পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ দাবি করেন, অপরাধ সংঘটনের পর অপরাধীরা আত্মগোপনে যাওয়ার জন্য নেপালকে রুট হিসেবে বেছে নিয়েছিল। গ্রেফতার সিয়ামও দেড় মাস আগে নেপালে যান।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডিবি প্রধান বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেকে (অপরাধী) কাঠমান্ডু এমনকি দিল্লি থেকে কাঠমান্ডু যায়। অপরাধীরা সেখানে গিয়ে অবস্থান করে, কারণ তারা এটিকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে।

তিনি বলেন, আনার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন ঢাকা থেকে দিল্লি ও দিল্লি থেকে কাঠমান্ডু গিয়েছিলেন। দেড় মাস আগে সিয়ামও কাঠমান্ডু গিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করেছি এবং সেখানে যাওয়ার পর কাঠমান্ডুর বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি।’

হারুন বলেন, ‘আমরা তাদের (নেপাল পুলিশ) বলেছি যে কিছু অপরাধী বাংলাদেশে লোকজনকে জিম্মি করে এবং এখানে অর্থ নিয়ে আসে। এই বিষয়গুলো একটু খেয়াল রাখতে হবে।’

নেপাল পুলিশ তাদের (ডিবি) বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে। এখন থেকে অপরাধীরা কাঠমান্ডুতে গিয়ে সেফ হোম বানাবে তারা পারবে না। সেই বার্তাই তারা পেয়েছেন বলে জানান হারুন।

গত ১ জুন এমপি আনার হত্যার তদন্তে হারুনের নেতৃত্বে চার সদস্যের ডিবির একটি দল নেপাল যায়। এর আগে, ২৬ মে ডিবিপ্রধানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দলও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কলকাতায় গিয়েছিল।

এমপি আনার চিকিৎসার জন্য গত ১১ মে কলকাতা যান এবং ১৪ মে থেকে নিখোঁজ হন। কলকাতার অদূরে নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে তাকে (আনার) নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে গত ২২ মে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

এমপি আনারের মৃত্যুর ঘটনায় ২২ মে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement