১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত

ড. মুহাম্মদ ইউনূস - ছবি : ইউএনবি

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি এ মামলার বৈধতার প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত।

এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো: আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনুসের গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের একজন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও একজন প্রোগ্রাম অফিসার পাওনা আদায়ের দাবিতে ২০২১ সালে রংপুরের শ্রম আদালতে শ্রম আইনে মামলা করেন। ওই মামলা তারা করতে পারেন না-এমন দাবিতে শ্রম আদালতে আবেদন করি। কিন্তু শ্রম আদালত সেটা খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলাটি কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। একইসাথে মামলাটির কার্যক্রম ২২ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। একইসাথে ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।

২০২১ সালে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।

গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নুর জাহান বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ দোহা, বোর্ড সদস্য ইমামুস সুলতান, রতন কুমার নাগ ও শাহ জাহান।

মামলার বিষয়ে বাদিপক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, মামলার বাদি অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি বাবদ ৯ লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ড. ইউনূসসহ আরো ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদি গোলাম মোস্তফা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন ইউনিট কার্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে বাদির অবসর গ্র্যাচুইটি এবং অর্জিত ছুটি নগদায়ন বাবদ পরিশোধ না করে তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়।

এছাড়া, পাওনা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠানটি টালবাহানা করে আসছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement