২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেশি হওয়ায় অচিরেই মানুষ ওষুধ গ্রহণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন : হাইকোর্ট

- ছবি - ইন্টারনেট

ভুয়া ডাক্তারে সাজা বৃদ্ধির নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে আনা রিট পিটিশন চূড়ান্ত শুনানির জন্য প্রস্তুত করতে বলেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি উত্থাপিত হয়।

রিটের পক্ষে আইনজীবী মোঃ জে আর খান রবিন আজ বুধবার এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভুয়া ডাক্তারে সাজা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনস্বার্থে রিট পিটিশন দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি আদালত। মেডিক্যাল সহকারীগন তাদের ব্যবস্থাপত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখার লক্ষ্যে জারিকৃত রুল মডিফিকেশান চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা না শুনে নথিতে রক্ষিত রাখেন এবং রুল শুনানির সময় আবেদন বিষয়ে শুনবেন বলে জানান।

তখন আদালত মন্তব্য করেন যে বাংলাদেশে যে পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়, অচিরেই এদেশের মানুষ ওষুধ গ্রহণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন। ডাক্তার সহকারীগণ তাদের ব্যবস্থা পত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লিখতে পারবেন কিনা- তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন আদালত। রিটটি চূড়ান্ত শুনানির জন্য রুল প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন আদালত।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোঃ জে আর খান রবিন গত বছরের ২৯ নভেম্বর ভুয়া ডাক্তারের সাজা বৃদ্ধি চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে আদেশ দেয়। ভুয়া ডাক্তারের সাজা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতাকে কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং কেন ভুয়া ডাক্তারের সাজা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্দেশ প্রদান করা হবে না- মর্মে কারণ দর্শাতে রুল জারি করে আদালত। পাশাপাশি দেশে বিরাজমান ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতকে তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ প্রদান করা হয়।

রুল জারি হওয়ার পর ১৬ জন মেডিক্যাল সহকারী উক্ত রিটে পক্ষ হয়ে জারিকৃত রুল মডিফিকেশানের জন্য আবেদন করেন।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement