দুই শিশু পাচারকালে শাহজালালে নারীসহ গ্রেফতার ৩

সন্তান পরিচয়ে দুই শিশুকে মালয়েশিয়ায় পাচারকালে দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে ঢাকা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক মিঞা এ তথ্য জানান। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের আটক করে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন মা পরিচয় দানকারি শাহীন আক্তার (৫৫), তার মেয়ে তাসনুভা জেরিন (৩০) ও মেয়ের বন্ধু মোহাম্মাদ তুষার (২১)।

পুলিশ বলছে, এ সময় পাচারকারীদের কবল থেকে ভুক্তভোগী দুই কিশোর-কিশোরি উদ্ধার করে গতরাতে টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে কিশোরটির বয়স ১৬ ও কিশোরীর ১৩ বছর।

ওসি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তারা মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর থেকে তাদের তিনজনকে আটক করা হয়। তাদেরকে বিমানবন্দর থানায় পাঠানো হয়েছে। থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ-খবর নিয়ে ওই শিশু দুটির পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। তাদের পরিচয় নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে, তদন্তের পর বলা যাবে তারা রোহিঙ্গা কি না?

পুলিশ ও ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, দুই কিশোর-কিশোরীরই নিজের প্রকৃত নাম বদলে গ্রেফতারকৃত শাহীন আক্তার ও ফিরোজ হোসেনের সন্তান হিসেবে তুষার হোসেন ও তানিশা হোসাইন নামে পাসপোর্ট বহন করছিল। গতরাতে ভুক্তভোগীদের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই পাঠানো হয়েছে। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে। যদি রোহিঙ্গা হয়ে থাকে, তাহলে তাদের ক্যাম্পে ফিরিয়ে দেয়া হবে। আর না হলে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশী পাসপোর্ট সংগ্রহের সহযোগিতা করে তারা অপরাধ করেছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত মামা পরিচয় দেয়া লালুকেও খোঁজা হচ্ছে। তাকে পেলে মূল বিষয়টা জানা যাবে।

এ ঘটনায় লালু মিয়াসহ চারজনকে আসামি করে বিমানবন্দর থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। আটককৃত তিন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র : বাসস