১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি

-

বিচার বিভাগের উপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস পুনরুদ্ধার এবং বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান বিচারপতির সাথে সাক্ষাৎ করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ তাকে এ চিঠি দেন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানিয়েছেন, সাক্ষাতে প্রধান বিচারপতি আইনজীবী নেতাদের বলেছেন, ‘আমি আপনাদের বক্তব্য শুনলাম। কাগজপত্রগুলো দেখব। দেখে কার্যকর পদক্ষেপ নেব।’

প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেয়ার সময় সংগঠনটির সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মাদ আলী ছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সংগঠনের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

চিঠিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন যুক্ত করে তার আলোকে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাটি প্রধান বিচারপতির নজরে আনা হয়েছে। সেইসাথে এতে দাবি করা হয়- রাজনৈতিক মামলার মাধ্যমে বিরোধী মতকে দমন ও ডিজিটাল আইন প্রয়োগ আস্থার সংকটকে আরো প্রকট করেছে। এতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এবং রাজনৈতিক মামলাসমূহের ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপ নেয়া, যাতে বিচার বিভাগের উপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে আসে।

এতে বলা হয়েছে, গত অক্টোবরে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের আইনের শাসন সূচক ২০২২-এ ১৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ১২৭তম স্থান পেয়েছে, যা অন্য কথায় বলা যেতে পারে যে এটি সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। ২০২১ সালের প্রতিবেদনে, ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৪তম স্থানে ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর ডেইলি স্টার একটি সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করেছিল, যেখানে বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, ‘বাংলাদেশের উচিত নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখা এবং তার কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য তার দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচার প্রদানের ব্যবস্থার উন্নতিতে আরো মনোযোগ দেয়া উচিত।’

প্রধান বিচারপতির সাথে সাক্ষাৎ শেষে আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বিচার বিভাগ দৃশ্যত রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ের জন্য এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। গোটা দেশবাসীসহ আন্তর্জাতিক মহলও তাই মনে করে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রধান বিচারপতির দৃষ্টিতে আনা হয়েছে। একইসাথে আমরা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তাকে অনুরোধ জানিয়েছি।’


আরো সংবাদ



premium cement