২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এনামুল বাছিরের জামিন বহাল

- ছবি - ইন্টারনেট

ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় দণ্ডিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদন আজ সোমবার খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ। এতে বাছিরের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় বিচারিক আদালত পৃথক দুটি ধারায় এনামুল বাছিরকে মোট আট বছরের (পাঁচ বছর ও তিন বছর) কারাদণ্ড দেন। একই সাথে তাকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

একই মামলায় পুলিশের বরখাস্ত উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে একটি ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এনামুল বাছির আপিল করেন, যা গত ১৩ এপ্রিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ৮০ লাখ টাকা জরিমানা স্থগিতের পাশাপাশি নথি তলব করা হয়।

পরে এনামুল বাছিরের জামিন চাওয়া হয়। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর হাইকোর্ট এনামুল বাছিরকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।

হাইকোর্টের দেয়া এই জামিনের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা ২২ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত এনামুল বাছিরকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন।

একই সাথে এনামুল বাছিরের জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনটি ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান ও এনামুল বাছিরের পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান শুনানিতে ছিলেন।

পরে আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, ‘এনামুল বাছির তিন বছর পাঁচ মাস ধরে কারাগারে আছেন বলে শুনানিতে বলেছি। আপিল বিভাগ দুদকের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে এনামুল বাছিরের জামিন বহাল রইল। এখন তার কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।’

দুদকের মামলা থেকে বাঁচিয়ে দিতে তৎকালীন ডিআইজি মিজানুরের কাছ থেকে বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়। অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দু’জনের বিরুদ্ধেই মামলা করেন দুদকের পরিচালক শেখ মোঃ ফানাফিল্যা।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, এনামুল বাছির কমিশনের দায়িত্বে থাকাকালে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তিনি মিজানুরকে অবৈধ সুযোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
হাতিয়া-সন্দ্বীপ চ্যানেলে কার্গো জাহাজডুবি : একজন নিখোঁজ, ১১ জন উদ্ধার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত বগুড়ায় ধানের জমিতে পানি সেচ দেয়া নিয়ে খুন জিআই স্বীকৃতির সাথে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল

সকল