২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন

শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন -

ক্যাম্পাসের জন্য জমি কেনার নামে প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা পাচারের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের সাবেক দুই সদস্যকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, এনএসইউ’র ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সদস্য এম এ কাশেম এবং রেহানা রহমানকে এই শর্তে জামিন দেয়া হয়েছিল যে অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ কিংবা এনএসইউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবেন না।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান এবং আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সৈয়দ আহমেদ রাজা।

চলতি বছরের ২ আগস্ট হাইকোর্ট এই মামলায় কেন দুই এনএসইউ ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যকে জামিন দেয়া হবে না তার ব্যাখ্যা চেয়ে একটি রুল জারি করেছে।

এর আগে এ বছরের ২২ মে আদালত এই মামলায় তাদের আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করে এনএসইউ’র চার ট্রাস্টিকে গ্রেফতারের জন্য শাহবাগ পুলিশকে নির্দেশ দেয়।

এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন বেনজীর আহমেদ ও মোহাম্মদ শাহজাহান।

গত ৫ মে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের জমি কেনার নামে ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা করে দুদক।

অপর আসামি হলেন আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মোহাম্মাদ হিলালী।

এই মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

মামলায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন উপেক্ষা করে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের সম্মতিতে এনএসইউ’র ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমি ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরে নিজেরা ওই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।

এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড পরিচালনায় তারা জালিয়াতি করেছে এবং কমিশন আদান-প্রদানের মাধ্যমে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement