পশ্চিমতীরের রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে আদালতের নির্দেশ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৫ অক্টোবর ২০২২, ১৬:৫৬
দু’জন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে ফিলিস্তিনের কর্তৃপক্ষের আদালত। অধিকৃত পশ্চিমতীরের নাবলুস এলাকায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোর পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ দিন তাদের আটক করা হয়।
আটক দুই নেতা হলেন মুসাব সাতায়েহ ও আমিদ তবিলেহ। তারা প্রতিরোধ আন্দোলনের কারণে ইসরাইলের তালিকাভুক্ত ছিলেন। এবং দু’জনেই হামাসের আল কাসেম বিগ্রেডের সামরিক শাখার সদস্য।
সাতায়েহ এ পর্যন্ত তিনবার আটক হয়েছেন এবং চার বছর ইসরাইলি জেলে কাটিয়েছেন। দখলদার বাহিনী তাকে ২০২১ সাল থেকে গ্রেফতারের তালিকাভুক্ত করে এবং তার পরিবারের বাসস্থান নাবলুসের পশ্চিমে সালেম এলাকায় অভিযান চালায়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
শুধু তা-ই নয়, তাকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২৪ জুলাই পুরনো নাবলুস শহরের পাশে ইয়াসমিনাতে দখলদারদের প্রতিরোধের সময় মোহাম্মদ আল আজিজি ও আবদ আর-রহমানকে হত্যা করা হয়।
ফিলিস্তিনি আদালতের নিরাপত্তা বিভাগ প্রমাণ পেয়েছে যে সাতায়েহ ও তবিলেহকে জেরিকোর কুখ্যাত কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে, যেটি ‘কসাইখানা’ হিসেবে পরিচিত। আটকের পর থেকে সাতায়েহ অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেন।
সোমবার ফিলিস্তিনি আদালতের আইনজীবী মুস্তাফা সাতাত ও সাতায়েহ-এর বাবা জেলখানায় দ্বিতীয়বারের মতো তার সাথে দেখা করেন।
এর আগে, আটকের প্রতিবাদে ৩০ ইসরাইলি রাজনৈতিক নেতারা জেলখানা অনশনে বসেন।
এই বিষয়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের সংগঠন সামিডন এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের সম্মিলিত বন্দীর মেয়াদ দুই শ’ বছর।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “এক শ’ বছর ধরে ইসরাইলের জবর-দখল নীতির কারণে আমরা পরিবারকে আলিঙ্গন করতে পারিনি এবং তারা কিভাবে বেড়ে উঠছে তা দেখতে পারিনি। এমনকি আমরা তাদের জন্মদিন উদযাপন বা তাদের স্কুলের প্রথম দিনে তাদের সাথী হতে পারিনি।”
ফিলিস্তিনি বন্দী অধিকার গ্রুপ আদ-দামেরের দাবি, প্রশাসনিকভাবে বর্তমানে ৭৪৩ জন ফিলিস্তিনি জেলে বন্দী রয়েছেন। এর মধ্যে আনুমানিক চার হাজার ৬৫০ জন ফিলিস্তিনি ইসরাইলি কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা