২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

- ছবি - সংগৃহীত

অর্থ আত্মসাতের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রোববার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মোঃ আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলার বাদি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আজ সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ না হওয়ায় আগামি ৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়।

এর আগে গত ১২ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মোঃ আসিফুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকার্য শুরু হয়।

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এতে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা না হলেও তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সাথে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা সত্ত্বেও রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদন এবং জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন করোনা রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগী প্রতি তিন হাজার পাঁচ শ’ টাকা করে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার পাঁচ শ’ টাকা নেয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগপত্রের অন্য আসামিরা হলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারি পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement