১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সম্রাটের জামিন শুনানি ২২ আগস্ট

ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট - ছবি - সংগৃহীত

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন শুনানির জন্য ২২ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত। একই দিন মামলার অভিযোগ গঠন শুনানিরও দিন ধার্য করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সম্রাটের জামিন শুনানি ও মামলার চার্জগঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। অসুস্থ থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে না পাঠিয়ে কাস্টডি ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) পাঠান। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মোঃ আসিফুজ্জামান তার জামিন শুনানি ও চার্জগঠন শুনানির জন্য ২২ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

গত ২১ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মোঃ আসিফুজ্জামানের আদালতে সম্রাটের জামিন ও চার্জগঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। ওইদিনও সম্রাট অসুস্থ থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ হাজতি পরোয়ানা পাঠালে বিচারক জামিন ও চার্জগঠন শুনানির জন্য ৬ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। এদিন সম্রাট অসুস্থ থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ হাজতি পরোয়ানা পাঠালে বিচারক জামিন ও চার্জগঠন শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেছিলেন।

এর আগে গত ২৪ মে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সম্রাট। অন্যদিকে, দুদকের আইনজীবী তার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মোঃ আসিফুজ্জামান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

একইসাথে জামিন শুনানির জন্য ৯ জুন দিন ধার্য করেন। সম্রাটের আইনজীবী তাকে অ্যাম্বুলেন্সে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। আদালত আইনজীবীর আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে পুলিশ পিকআপে করে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১৮ মে দুদক এ মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে সাতদিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল দুদক। এ মামলায় গত ১১ মে সম্রাটকে জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মোঃ আসিফুজ্জামানের আদালত।

এ মামলায় জামিন পাওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে করা আরো তিনটি মামলায় তিনি জামিন পান। চারটি মামলার সবগুলোতে জামিন পাওয়ায় গত ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) প্রিজন সেল থেকে কারামুক্তি পান সম্রাট।

রমনা থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ১১ এপ্রিল জামিন পান সম্রাট। এর একদিন আগেই ১০ এপ্রিল অর্থপাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক মামলায় ঢাকার পৃথক আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement