২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ভোলায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ : হাইকোর্টে বিএনপির ৬০ নেতাকর্মীর জামিন

ভোলায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন বিএনপির ৬০ নেতাকর্মী। - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিং এবং জ্বালানি তেল, গ্যাস খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৬০ জনকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে আগামী ছয় সপ্তাহ পরে তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৭ আগস্ট) বিচারপতি মো: মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো: সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জামিন সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: মাকসুদ উল্লাহ।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: এনামুল হক, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সোপান, যুবদলের সভাপতি মো: জামাল উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল কাদের সেলিম, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো: আল আমিন ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হাওলাদারসহ ৬০ জন।

আদালতে আসামিদের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আইনজীবী আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, মনিরুজ্জামান আসাদ, শফিউল আলম মাহমুদ, রফিকুল ইসলাম মন্টু, অ্যাডভোকেট সুজা, মাকসুদ উল্লাহ, শেখ শিমুল, মু: কাইয়ুম প্রমুখ।

গত ৩ আগস্ট ভোলায় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৬২ জনের জামিন আবেদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৬০ জনকে জামিন দেন আদালত। আর বাকি দুই আসামি আদালতে উপস্থিত হয়নি। তাই তাদের জামিন দেননি আদালত।

বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এই আবেদন করেন। তার সাথে ছিলেন অ্যাডভোকেট সুজা ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। তিন আইনজীবী ভোলার ৬২ জন নেতার পক্ষে পৃথক তিনটি জামিন আবেদন ফাইল করেছেন।

এর আগে ৩১ জুলাই সকালে ভোলায় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতসহ ৬৭৫ জনকে আসামি করে ভোলা সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

জ্বালানি তেল, গ্যাস ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে জেলা বিএনপির শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ অতর্কিতভাবে হামলায় দুইজন বিএনপি নেতা নিহত হন এবং বাকি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দ য়ের করা হয় বলে আইনজীবীরা জানান।

জেলা বিএনপির শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ অতর্কিতভাবে গুলি চালালে দুজন বিএনপি নেতা নিহত হন। পরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান আইনজীবীরা।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল