২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কনডেম সেলের আসামিদের তথ্য দাখিল না করায় হাইকোর্টের অসন্তোষ

কনডেম সেলের আসামিদের তথ্য দাখিল না করায় হাইকোর্টের অসন্তোষ
- ছবি - সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন কারাগারের কনডেম সেলে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক হাজার ৯৮৭ আসামির বিষয়ে তথ্য দাখিল না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসাথে এ বিষয়ে শুনানির জন্য দুপুরে সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। পাশাপাশি শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিকালে রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিটকারী কারাবন্দিরা হলেন, চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, আইজিপি, আইজি প্রিজন্স,চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপারকে বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে আবদ্ধ রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। একইসাথে রুলটি বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীদের কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তরের আবেদন করা হয়েছে। পাশাপশি দেশের সব জেলের কনডেম সেলে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের রাখার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে (সুযোগ, সুবিধা) কারা মহাপরিদর্শককে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে দেশের বিভিন্ন কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক হাজার ৯৮৭ আসামিকে কী কী সুবিধা দেয়া হয়েছে তা লিখিত প্রতিবেদন আকারে দাখিলের জন্য গত ৩১ অক্টোবর নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement

সকল