৬ ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার রায় আজ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:২৭, আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:৪৬
নয় বছর আগে শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিনবাজারে ছয় ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে।
ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহান এ রায় ঘোষণা করবেন।
অতিরিক্ত পিপি আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, রায় ঘোষণার দিন ধার্য করার পাশাপাশি আদালত ৫৮ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অভিযোগ গঠনের পর ২ আসামি বিভিন্ন সময়ে কারাগারে মারা যান।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতের রাতে আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলার চরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতরা হলেন ম্যাপললিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শামীম, মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, ইব্রাহিম খলিল, কামরুজ্জামান কান্ত, তেজগাঁও কলেজের ছাত্র টিপু সুলতান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএর ছাত্র সিতাব জাবির মুনিব।
ঘটনার পর নিহতদের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ এনে গ্রামবাসীর পক্ষে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন বালু ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক। অন্যদিকে ছয় শ’ গ্রামবাসীকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র্যাব সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই বছরের ৮ জুলাই মামলার ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জশিট) গঠন করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলালউদ্দিন।
চার্জশিটভুক্ত ৬০ আসামি হলেন ডাকাতি মামলার বাদি আব্দুল মালেক, সাঈদ মেম্বর, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন রেফু, নিহর ওরফে জমশের আলী, মীর হোসেন, মজিবর রহমান, কবির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রজুর আলী সোহাগ, আলম, রানা, আ. হালিম, ছাব্বির আহম্মেদ, আলমগীর, আনোয়ার হোসেন আনু, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির, রুবেল, নূর ইসলাম, আনিস, সালেহ আহমেদ, শাহাদাত হোসেন রুবেল, টুটুল, অখিল, মাসুদ, নিজামউদ্দিন, মোখলেছ, কালাম, আফজাল, বাদশা মিয়া, তোতন, সাইফুল, রহিম, শাহজাহান, সুলতান, সোহাগ, লেমন, সায়মন, এনায়েত, হায়দার, খালেদ, ইমান আলী, দুলাল , আলম, আসলাম মিয়া, শাহীন আহমেদ, ফরিদ খান, রাজীব হোসেন, হাতকাটা রহিম, মো. ওয়াসিম, সেলিম মোল্লা, সানোয়ার হোসেন, শামসুল হক ওরফে শামচু মেম্বার, রাশেদ, সাইফুল, সাত্তার, সেলিম ও মনির।
আসামিদের মধ্যে কবির হোসেন ও রাশেদ মারা গেছেন।