২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : আইনমন্ত্রী

নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : আইনমন্ত্রী - ছবি : সংগৃহীত

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, নারী শিক্ষার প্রসার ও নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. সোনালী চক্রবর্তী ব্যানার্জি, ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম , সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বক্তৃতা করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ববঙ্গের বাঙালি নারীর জীবনের দরজা খুলে দিয়েছিল। এখানে উচ্চশিক্ষা নিতে এসে কেবল পড়াশোনাতেই থেমে থাকেননি নারীরা। তারা সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মকান্ডেও জড়িত হয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠার শতবর্ষে দাঁড়িয়ে উপলব্ধি করছি, বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে এতদাঞ্চলে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তার অনেকটাই পুষিয়ে দিতে পেরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিরবচ্ছিন্নভাবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে বাঙালি জাতিকে বহু অজানা ও নতুন পথ দেখিয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, কিভাবে অধিকার ও স্বাধীকার অর্জন করতে হয়, কিভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়, কিভাবে দেশ গড়তে ও পরিচালনা করতে হয় তা শিখিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। এই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাঙালি জাতি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতার সংগ্রাম সহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে সফল হতে পেরেছে। আর এসব আন্দোলন ও সংগ্রামের সূতিকাগার ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি বলেন, ভারত বিভক্তির পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এই বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান অর্জন ও রাজনীতি চর্চার তীর্থ স্থান হিসেবে বেছে নেন। তাঁর পাকিস্তান বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনের অভিযাত্রাও শুরু হয় এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এসব কারণেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর প্রধান চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যাপিঠ। তারই প্রতিশোধ হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে এখানে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। আবার বাঙালির কাছে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৪ ডিসেম্বরেও এখানে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় তারা- একথা বলেন, আনিসুল হক।

আনিসুল হক বলেন, নব্য স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন ও পরিচালনার ক্ষেত্রেও রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসামান্য অবদান। স্বাধীন বাংলাদেশেও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষর্থীরা অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার ও স্বাধিকার অর্জন, মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র রক্ষা এবং দেশ গঠন ও পরিচালনা করার ক্ষেত্রে বিশ্বের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এতসব অবদান রাখতে পেরেছে কি-না তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। সে কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বে একটি অনন্য বিশ্ববিদ্যালয়।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল