২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পিএসসি’র প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের সাজার মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর

পিএসসি’র প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের সাজার মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) আইন-২০২১ অনুমোদন দিয়েছে কেবিনেট। এই আইনে পিএসসির যে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর অথবা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক কেবিনেট সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সভায় যোগ দেন। বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

সচিবালয়ে সভা শেষে কেবিনেট সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদিকদের এ কথা জানান।
পিএসসি আইন-২০২১ সম্বন্ধে তিনি বলেন, এটি ১৯৭৭ সালের একটি অধ্যাদেশ যা উচ্চ আদালতের রায়ের কারণে পরিবর্তন করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, এটি একটি রুল-ভিত্তিক আইন যার দ্বারা আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী অধিকাংশ ইস্যুর বিচার করা যাবে।

এই আইনের খসড়ায় ১৫টি ধারা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি একটি রুল-ভিত্তিক আইন যার মাধ্যমে পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত সকল ধরনের আইনের বিধান করা যাবে।

কেবিনেট সচিব বলেন, ‘এই খসড়া আইনের আর্টিকেল ৮ অনুযায়ী যারা পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) পরিচালিত যেকোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকবে তারা সর্বোচ্চ ১০ বছর অথবা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করলে এবং উত্তরপত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নিলে দুই বছর জেল অথবা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। ভ্রাম্যমান আদালত এই ধরনের অপরাধের শাস্তি দিতে পারবে বলে তিনি যোগ করেন।

কেবিনেট যাকাত ফান্ড ম্যানেজম্যান্ট এক্ট, ২০২১ এর খসড়া আইনেরও অনুমোদন দিয়েছে। সর্বশেষ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি এই ফান্ডে যাকাত দিতে জনগণকে অনুপ্রাণিত করতে বলেন তিনি।
জনগণ তাদের যাকাত তালিকাভূক্ত যেকোনো ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারের যাকাত ফান্ডে দিতে পারবে, বলেন কেবিনেট সচিব। তিনি আরো যোগ করেন, প্রস্তাবিত এই আইন যাকাত ফান্ড অডিন্যান্স, ১৯৮২ এর সংশোধন করা হয়েছে।

এদিকে, সভায় মসজিদের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য চট্টগ্রাম শাহী জামে মসজিদ এক্ট, ২০২১ এর খসড়া আইনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

‘যদি মসজিদের সম্পত্তি এবং আয় নিয়ে কারো অসঙ্গতি পাওয়া যায় তাকে সর্বোচ্চ দুই বছর জেল অথবা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে’ বলেন, খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। চট্টগ্রাম শাহী মসজিদের ২.৪৩ একর জমি রয়েছে যা অনেক মূল্যবান উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, এই খসড়া আইনটি চট্টগ্রাম শাহী মসজিদ অডিন্যান্স, ১৯৮৬ এর স্থলে প্রতিস্থাপিত হবে। সভায় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তঋণ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সূত্র : বাসস

 


আরো সংবাদ



premium cement