২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইভ্যালি পরিচালনায় আদালতগঠিত বোর্ড যেভাবে কাজ করবে

ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় পাঁচ সদস্যের একটি অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করেছে হাইকোর্ট। - ছবি : সংগৃহীত

আর্থিক অনিয়মের কারণে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনার শীর্ষে থাকা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় সোমবার পাঁচ সদস্যের একটি অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করেছে হাইকোর্ট।

এই বোর্ডের প্রধান হিসেবে থাকবেন সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

বোর্ডে যারা আছেন
ইভ্যালির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগকারী ভুক্তভোগীদের আইনজীবী এ এম মাসুম বিবিসিকে জানিয়েছেন, বোর্ডের যে সদস্যরা রয়েছেন তাদের মধ্যে সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক কোম্পানিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন ওএসডিতে থাকা এঅতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন।

এছাড়া বোর্ডে আরো রয়েছেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ, আইনজীবী শামিম আজিজ।

বোর্ডের আর এক সদস্য হলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব করা অবসরপ্রাপ্ত সচিব রেজাউল আহসান।

এই দায়িত্ব পালনের জন্য তারা সরকারের কাছ থেকে বেতন পাবেন।

কীভাবে কাজ করবে বোর্ড
এ এম মাসুম জানিয়েছেন, ‘এই বোর্ড শুরুতেই ইভ্যালির অবস্থা সম্পর্কে একটা অডিট করবে। তাদের কাছে দায়-দেনার পরিমাণ হিসাব, কত অর্থ তাদের কাছে ভোক্তাদের পাওনা, তাদের কত সম্পদ আছে এই পুরো বিষয়টা অর্থাৎ কোম্পানিটি কী অবস্থায় আছে সেটার একটা খতিয়ান করতে হবে। এজন্য শুরুতেই অডিট করবেন তারা।’

যে দেনা রয়েছে কোম্পানিটির তা কীভাবে পরিশোধ করা যাবে, কোম্পানিটি আদৌ আর পরিচালনা করা সম্ভব নাকি বন্ধ ঘোষণা করা উচিৎ এসব বিষয়ে অডিটের পর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।

যদি কোম্পানিটি পরিচালনা করা সম্ভব হয় তাহলে এই বোর্ড সেটি পরিচালনা করবে। পরিচালনা করা সম্ভব না হলে কোম্পানিটি অবসায়ন করে দেয়া হবে।

কোম্পানিটির নিয়মিত যেসব কাজ সেটি এই বোর্ড পরিচালনা করবে, এমনকি বার্ষিক সভাও।

‘অর্থাৎ যেহেতু ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং চেয়ারম্যান কারাগারে রয়েছেন তাই এই কোম্পানিটি পরিচালনা করতে যা যা করতে হয় তার সবই করবে এই বোর্ড।’

তিনি জানিয়েছেন, ২৩ নভেম্বর এই বোর্ড তাদের প্রাপ্ত তথ্য আদালতে পেশ করবে।

ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডারের পর অর্থ পরিশোধ করে পাঁচ মাস পরও পণ্য ও টাকা না পেয়ে কোম্পানিটির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন একজন গ্রাহক।

গত মাসের মাঝামাঝি সময় ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে অর্থ আত্মসাতের একটি মামলায় গ্রেফতার করে র‍্যাব।

তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের পর ইভ্যালির অফিসগুলো বন্ধের ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি।

এর আগে জুলাই মাসে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ইভ্যালি গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে অগ্রিম নেয়া ৩০০ কোটি টাকার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না।

জুন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে।

এর আগে জানুয়ারি মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে যে পণ্য বেচাকেনার ক্ষেত্রে ইভ্যালি আইন ভঙ করেছে।

নির্বাহী কর্মকর্তা এবং চেয়ারম্যান গ্রেফতারের পর ইভ্যালির গ্রাহকরা অর্থ ফেরত দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করে। সেজন্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানকে মুক্তি দেয়া উচিৎ এই দাবিতেও বিক্ষোভ হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement