২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকা সিটিতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৮ লাখ ৮ হাজার টাকা জরিমানা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ভবনে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ৫৩টি মামলা দেয়া হয়েছে। এ সময় আট লাখ আট হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকার দু’সিটি করপোরেশন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসি এলাকায় এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিস্তার রোধকল্পে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৭টি মামলায় দু’লাখ ৮২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টার ও জিগাতলা স্টাফ কোয়ার্টারসহ ৩৬টি নির্মাণাধীন ভবন ও বাসা-বাড়িতে লার্ভা পাওয়ায় ৩৬টি মামলায় পাঁচ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাসার মো: তাজুল ইসলাম জানান, এই সিটির ১ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: জুলকার নায়ন পরিচালিত মোবাইল কোর্টে তিনটি মামলায় ৩৫ হাজার টাকা, ২ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম সফিউল আজম পরিচালিত মোবাইল কোর্টে একটি মামলায় পাঁচ হাজার টাকা, ৩ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌফিকুর রহমান পরিচালিত মোবাইল কোর্টে তিনটি মামলায় ৪০ হাজার টাকা, ৪ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ১টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা, ৫ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাসুদ হোসেন ও যতন মার্মা পরিচালিত মোবাইল কোর্টে তিনটি মামলায় ৮৫ হাজার টাকা, ৬ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিন পরিচালিত মোবাইল কোর্টে একটি মামলায় ৫০ হাজার টাকা, ৯ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: জিয়াউর রহমান পরিচালিত মোবাইল কোর্টে দুটি মামলায় ২৫ হাজার টাকা এবং ১০ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ শহিদুল ইসলাম পরিচালিত মোবাইল কোর্টে তিনটি মামলায় ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এদিকে ডিএনসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: আবু নাছের জানান, আজ দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ছয়জন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসমূহ পরিচালনা করেন।

তিনি জানান, অঞ্চল-১-এর পশ্চিম মালিবাগে মাহফুজুল আলম মাসুম, অঞ্চল-২-এর কমলাপুর রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, অঞ্চল-৩-এর ইডেন কলেজ স্টাফ কোয়ার্টার ও চাঁদনীঘাটে তৌহিদুজ্জামান পাভেল, অঞ্চল-৫-এর আর এম দাস রোড, লালমোহন দাস রোড ও ঠাকুর দাস রোডে শাহিন রেজা, অঞ্চল-৬-এর পশ্চিম দোলাইর পাড়ে মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়া, অঞ্চল-৮-এর পশ্চিম বক্স নগরে কাজী হাফিজুল আমিন এবং অঞ্চল-১০ ও ২-এর উত্তর শাহজাহানপুর ও শান্তিনগর এলাকায় বিকাশ বিশ্বাস এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

এছাড়াও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের (আনিক) মধ্যে অঞ্চল-১-এর মেরীনা নাজনীন ধানমন্ডির স্বর্ণপট্টি ও সেন্ট্রাল রোডে, অঞ্চল-৩ আনিক-৩-এর আনিক বাবর আলী মীর জিগাতলা স্টাফ কোয়ার্টারে, অঞ্চল-৪-এর আনিক মো: হায়দর আলী বেচারাম দেউড়ি ও আলী হাজি লেনে, অঞ্চল-৫-এর আনিক টিপু সুলতান রোডে, অঞ্চল-৭-এর আনিক ড. মোহাম্মদ মাহে আলম উত্তর মান্ডায় এবং অঞ্চল-৯-এর আনিক মো. খায়রুল হাসান ভাঙ্গা প্রেস এলাকার আব্দুল গনি ভবনসহ আশপাশের এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতসমূহ এ সময় ৬৬৩টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে এবং মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩৬টি নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়ির বিরুদ্ধে ৩৬ মামলায় সর্বমোট পাঁচ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।

এছাড়াও এ সময় এডিস মশার লার্ভা প্রজনন উপযোগী পরিবেশ বিরাজ করায় মোট ৫১টি বাসা ও নির্মাণাধীন ভবন মালিকদেরকে সতর্ক করা হয়।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement