২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জোড়া খুনের মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত রনির জামিন আবেদন নাকচ

জোড়া খুনের মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত রনির জামিন আবেদন নাকচ - সংগৃহীত

জোড়া খুনের মামলায় যাবজ্জীবনদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনির জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও শাহেদ নুরুদ্দীনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ঢাকার ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি বখতিয়ার আলম রনিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল ঈমাম এ রায় দেন। ওই মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করলে হাইকোর্ট আবেদনটি নাকচ করে দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, দুই সপ্তাহ আগে জামিন চেয়ে আবেদনটি করেছিল আসামিপক্ষ। শুনানি শেষে বুধবার আবেদনটি নাকচ করে দেন আদালত।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে নিউ ইস্কাটনে একটি গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে রিকশাচালক আবদুল হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ এপ্রিল হাকিম এবং ২৩ এপ্রিল ইয়াকুবের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম ১৫ এপ্রিল রমনা থানায় মামলাটি করেন।

পরে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই রনিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস। আদালতে রনির গাড়ির চালক ইমরান ফকির এবং ঘটনার দিন তার সঙ্গে থাকা কামাল মাহমুদ, টাইগার কামাল ও জাহাঙ্গীর আলম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, রনি তার পিস্তল দিয়েই গুলি ছোড়েন। এই গুলিতেই হাকিম ও ইয়াকুব গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যান।

তথ্যপ্রযুক্তি ও দৈনিক জনকণ্ঠের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার সহায়তায় রনির প্রাডো গাড়ি এবং তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গাড়ির সূত্র ধরে ওই বছরের ৩০ মে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement