সাওদা হত্যা মামলা : একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাওদা বেগম হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি রাসেল মাতুব্বরের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের দ্বৈত বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল নামঞ্জুর করে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র রাসেলের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

আদালতে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সাথে ছিলেন আইনজীবী এম মাসুদ রানা, মোঃ আসাদ উদ্দিন ও মোহাম্মদ নোয়াব আলী।

মামলার ঘটনায় প্রকাশ, ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সওদা (১৯) বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ঘটনার দিন হত্যাকাণ্ডের শিকার সওদার মা সাহিদা বেগম বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল মিয়াসহ (২২) অজ্ঞাতনামা দুই/তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, তার মেয়ে ও রাসেলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পারিবারিক কারণে সাওদা রাসেলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ফলশ্রুতিতে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ আসামি রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করে। একই দিনে আসামি রাসেল মিয়া ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বরিশালের বিজ্ঞ ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ জনাব এস এম নাসিম রেজা ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।

সকল সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে ২০১৫ সালের ১ জুন আদালত আসামি রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। রায়ের বিরুদ্ধে আসামি হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করেন।

২০১৯ সালের ৯ মে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়।