২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রাজধানীর ৩টি হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান : মালিকসহ ৬ জনের কারাদণ্ড

- ছবি - সংগৃহীত

রাজধানীর তিনটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে মালিকসহ ছয়জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর-শ্যামলী এলাকায় উন্নত চিকিৎসা দেয়ার নামে প্রতারণা, বিভিন্ন হাসপাতালে অনিয়ম ও ভূয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে একযোগে টাস্কফোর্স গঠন করে অভিযান পরিচালিত হয়।

র‌্যাব-২ ও ডিজি হেলথ প্রতিনিধির সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযানে মোহাম্মদপুর এলাকায় নুরজাহান অর্থোপেডিক্স হাসপাতালের পরিচালক বাবুল হোসেনকে এক বছরের এবং ওয়ার্ড বয়কে দু’বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এছাড়া একই অপরাধে রাজধানীর শ্যামলী বাবর রোডে মক্কা-মদিনা হাসপাতালের পরিচালক নূর নবীকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং কর্মচারী আনোয়ার হোসেন কালু ও তার সহযোগি আব্দুর রশিদকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত। সেই সাথে মক্কা-মদিনা হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। পরিচালক নূর নবীর কোনো ধরনের চিকিৎসা প্রদানের সনদ বা অনুমোদন নেই। তিনি তার রুমে বসে রোগী দেখছেন এবং তাদের ব্যবস্থা পত্র দিচ্ছেন।

ক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক আবুল হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও হাসপাতালটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

এ হাসপাতালের অনুমোদনের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে চার মাস আগে। পরিচালক হাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন (৫০)। তিনি এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। একাধারে তিনি হাসপাতালের পরিচালক ও ডাক্তার।

বুধবার রাত পৌনে ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে শেষ হয়।
অভিযানেকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ও র‌্যাব-২ এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর ও এলিট ফোর্স র‌্যাব-২ এর সমন্বয়ে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু আজ বাসস’কে জানান, রাজধানীর শ্যামলী ও মোহাম্মদপুর থানার বাবর রোডে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে এসে কম খরচে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার আশ্বাস দেয় দালালচক্র। তারা রোগী আনার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরকারি হাসপাতাল সম্পর্কে ভূল তথ্য দেয়া।

ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেন। তারা বেশিরভাগই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল। তারাই বেশি এই সব দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েন।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement