২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ইরফানের সহকারী দীপু তিন দিনের রিমান্ডে

ইরফানের সহকারী দীপু তিন দিনের রিমান্ডে - ছবি : সংগৃহীত

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী এ বি সিদ্দিক দীপুর জামিন আবেদন খারিজ করে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে সাত দিনের রিমান্ডের নেয়ার জন্য আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন খারিজ করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে টাঙ্গাইল শহর থেকে আসামি এ বি সিদ্দিক দীপুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার সকালে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিফকে ধাক্কা মারার পর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসাথে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলব’ বলে কিল-ঘুষি মারেন এবং আমার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

তারা আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। পরে আমার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমণ্ডি থানার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

মামলায় মোট পাঁচটি ফৌজদারি অপরাধের ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপরাধগুলো হলো- দণ্ডবিধি ১৪৩ অনুযায়ী বেআইনি সমাবেশের সদস্য হয়ে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলকভাবে বল প্রয়োগ করা, ৩৪১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ৩৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার কাজে বাধাদানের উদ্দেশ্যে আহত করা, ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার ওপর বল প্রয়োগ করা এবং ৫০৬ ধারায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়া।


আরো সংবাদ



premium cement