কারাগারে কোয়ারেন্টিনে ইরফান সেলিম
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১১:৫১, আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৫:১৩
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে কেরানীগঞ্জস্থ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মামুন।
তিনি জানান, কারাগারে প্রবেশের পরপর ইরফান ও তার বডিগার্ডের শরীর তল্লাশির পর নিয়ম অনুযায়ী কারাগারে করোনাভাইরাস সতর্কতার জন্য ভেতরে কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে।
এর আগে ইরফান ও তার বডিগার্ডকে এক বছর করে জেল দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় মদ্যপান ও ওয়াকিটকি ব্যবহার করার অপরাধে তাকে সাজা দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম তাকে এ সাজা দেন।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল রকিবুল হাসান মঙ্গলবার সকালে জানান, ইরফানকে রাত দেড়টার পরে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ঢাকার জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ইরফান কারাগারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
করোনাভাইরাস মহামারীকালে কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো নতুন বন্দিকে একটি সেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
ইরফানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করতে যাচ্ছে র্যাব।
মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো করা হবে বলে র্যাব কর্মকর্তা রকিবুল জানান।
ইরফান ও তার সহযোগীদের হাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খান মারধরের শিকার হওয়ার জের ধরে সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার থেকে সাড়ে আট ঘণ্টা হাজী সেলিমের চকবাজারের ২৬ দেবীদাস ঘাট লেনে ৯ তলা সুরম্য অট্টালিকা ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ি’-তে অভিযান চালায় র্যাব।
সেখান থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র (একটি পিস্তল ও আরেকটি একনলা বন্দুক), উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ৩৮টি ওয়াকিটকি, ৫টি ভিপিএস সেট, একটি দুরবিন, শক্তিশালী ইলেকট্রিক ডিভাইস, ৪০০ পিস ইয়াবা, সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার, একটি হ্যান্ডকাফ (হাতকড়া), একটি ড্রোন, একটি ব্রিফকেসসহ অন্যান্য অবৈধ জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
রাত সোয়া ৮টার দিকে দ্বিতীয় ধাপে অভিযান শুরু হয় আশিক মদিনা টাওয়ারের ইরফান সেলিমের ‘টর্চার সেলে’।
সেখান থেকে ইলেকট্রিক শক দিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, আরেকটি দুরবিন, একটি হাঁড়ের খণ্ড, ছোরা, সিসিটিভির হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়। রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে শেষ হয় অভিযান।
রোববার রাতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সোমবার সকালে ধানমণ্ডি থানায় ইরফানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে মামলা হয়।
আর রোববার রাতেই পুলিশ আটক করে হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে। তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।