২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সুরঞ্জিত সেনকে হত্যাচেষ্টা মামলা : মেয়র আরিফকে আসামি করে অভিযোগ গঠন

- ছবি : ইউএনবি

পরলোকগত সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে আসামি করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহারিয়ার কবিরের আদালতে এই মামলার অভিযোগ গঠন করেন।

একই আদালতে সুরঞ্জিত সেনের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়েকৃত বিস্ফোরক মামলা এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলারও চার্জ গঠন করা হয় আজ।

এই দুটি মামলায়ও সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।

সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি সরওয়ার হোসেন আবদাল বলেন, সুরঞ্জিত সেনের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনার দুটি মামলায় সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গৌছকে আসামি করা হয়েছে। আর শাহ এএসএম কিবরিয়ার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার বিস্ফোরক মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীদের আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আজ থেকে এই তিন মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলো বলে জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, আজ কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ থাকলেও সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে গেছে। এই মামলাও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে।

এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে সিলেট আদালতে আনা হয়। আর জামিনে থাকা সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গৌছও আদালতে হাজির হন। মোট ১১ জন আসামি বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ জুন দিরাই বাজারে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সমাবেশে তখন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ওই বোমা হামলায় এক যুবলীগকর্মী নিহত ও ২৯ জন আহত হন। ওই ঘটনায় এসআই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ পাঁচজন। এ ঘটনায় আহত হন ৭০ জন।

এ ঘটনায় ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মো: আব্দুল মজিদ খান বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এ হত্যা মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়। পরে ২০১১ সালে তদন্তের প্রেক্ষিতে আরো ২৬ জনকে আসামি করা হয়। পরে তৃতীয় দফায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফর জামান বাবর, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী ও সিলেটের সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ প্রায় ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে দুজন মারা গেছেন।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
সাকিবে উজ্জীবিত বাংলাদেশের লক্ষ্য সিরিজে সমতা কুলাউড়ায় জঙ্গল থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার ঈদগাঁওতে মাদককারবারি গ্রেফতার শিক্ষায় ব্যাঘাত : ফেসবুক-টিকটক-ইনস্টাগ্রাম-স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে ২৯০ কোটি ডলারের মামলা আমতলীতে কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্রিমিয়া সাগরে বিধ্বস্ত হলো রুশ সামরিক বিমান জর্ডান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী বিচারক এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন

সকল