২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কবর থেকে তোলা হলো রায়হানের লাশ

কবর থেকে তোলা হলো রায়হানের লাশ - ছবি - সংগৃহীত

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিনের (৩০) লাশ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তুলেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিন ও সজিবুর রহমান, পিবিআইর এসপি খালেদুজ্জামান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আখালিয়া নবাবী মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান থেকে লাশ তোলা হয়।

এর আগে সকাল ৯টায় ঘটনাস্থলে যান ম্যাজিস্ট্রেটসহ পিবিআইর টিম। এরপর সকাল ৯টা ২০ মিনিটে কবর খোঁড়া শুরু হয়। লাশ তোলার পর রায়হানের লাশ ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়।

মামলার তদন্ত সূত্র জানায়, গত বুধবার (১৪ অক্টোবর) মহানগর পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায়হানের লাশ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

এদিকে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশক্রমে মামলাটির দায়িত্ব পাওয়ার পর গত বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি ও কাস্টঘর এলাকা এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিহত রায়হানের বাড়ি আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকায় যান পিবিআই সদস্যরা।

পরিদর্শনকালে পিবিআই টিম ফাঁড়ি সংলগ্ন পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ ও কাস্টঘর এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেন। এছাড়া কাস্টঘরে নিহত রায়হানকে আটকের সময় প্রত্যক্ষদর্শী সুরাই লালের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত দল। এরপর স্থানীয় ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

ব্রিফিংয়ে পিবিআইর এসপি খালেদুজ্জামান বলেন, আমরা তথ্য, আলামত ও সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। কয়েকজনের বক্তব্য নিয়েছি। সেগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্তে উপনীত হবো। এছাড়া তদন্তের স্বার্থে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য লাশ কবর থেকে তোলা হলো।

গত ১১ অক্টোবর সকালে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রায়হান উদ্দিন মারা যান। তিনি সিলেট নগরের আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান।

এদিকে নিহতের পরিবার ও স্বজনদের দাবি, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। সাময়িক বরখাস্ত চার পুলিশ সদস্য হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস।

প্রত্যাহার তিন পুলিশ সদস্য হলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন। তবে ঘটনার দিন সকাল থেকে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সব বর্ডার এলাকায় বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে, যাতে দেশত্যাগ না করতে পারেন।

নিহতের স্ত্রীর করা হত্যা মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে স্থানান্তর করা হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েই মাঠ নেমেছে পিবিআই।


আরো সংবাদ



premium cement
মিরসরাইয়ে মৃত্যুর ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তার কবর থেকে লাশ উত্তোলন দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ রংপুরে মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি, অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে : ধর্মমন্ত্রী সিলেটে ৪৪ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিসহ গ্রেফতার ৪ অবৈধ সম্পদ : এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ জুন টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে চাপম্যান-আফ্রিদির উন্নতি থানচিতে ট্রাকে দুর্বৃত্তদের গুলি চীনের আনহুই প্রদেশের সাথে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই শরীয়তপুরে আ’লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ : ২ শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরণ

সকল