১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডিআইজি মিজানের ভাগ্নে মাহমুদুলকে কেন জামিন নয় : হাইকোর্ট

ডিআইজি মিজানের ভাগ্নে মাহমুদুলকে কেন জামিন নয় : হাইকোর্ট - ছবি : সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের ভাগ্নে উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসানকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে সোমবার রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

মাহমুদুল হাসানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

গত বছরের ১ জুলাই হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন মাহমুদুল হাসান। আদালত তাকে জামিন না দিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। এরপর ৪ জুলাই তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি আছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গত বছর ২৪ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। মামলায় ডিআইজি মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

মামলায় মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, মিজানুর রহমান তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫ টাকায় গুলশান-১ এ পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান বরাদ্দ নেয়। মিজানুর রহমান নিজে নমিনি হয়ে ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর একটি ব্যাংকে এফডিআর হিসাব খুলে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন। তবে দুদকের অনুসন্ধান চালু হওয়ার পরে সে টাকা ভাঙিয়ে সুদাসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ টাকা তুলে নেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান ২০১১ সালে তার স্ত্রী রত্না রহমানের নামে কাকরাইলে ১৭৭৬ বর্গফুটের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট কিনে এক কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা নির্মাণ কোম্পানিকে পরিশোধ করেন। পরে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটটি ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে রেজিস্ট্রি করেন।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement