২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
নিম্ন আদালতের কার্যক্রম শুরু

স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না আইনজীবি ও বিচারপ্রার্থীরা

স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না আইনজীবি ও বিচারপ্রার্থীরা - সংগৃহীত

নিম্ন আদালতের কার্যক্রম শুরু হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না আইনজীবি ও বিচারপ্রার্থীরা। দীর্ঘ ৪ মাস ১০ দিন পর নিম্ন আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল এসব আদালত। আদালতে আইনজীবি ও বিচারপ্রার্থীদের আসা-যাওয়া শুরু করেছে। তবে অধিকাংশ আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আদালতে প্রবেশের সময় পরীক্ষা করা হয় না তাপমাত্রা। অধিকাংশ আদালতে নেই জীবাণুনাশক স্প্রে। এতে ভয় রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

গত ৫ ও ৬ আগষ্ট দুই আদালত এলাকা ও আদালতে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের (সিএমএম) প্রবেশ পথে নেই জীবাণুনাশক স্প্রে। নেই তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র। অনেকের মুখে নেই মাস্ক। সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ মানছেন না অনেকেই।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়মিত আদালতের বিচার কার্যক্রম শুরু করার বিষয় সিদ্ধান্ত নেন। গত ৩০ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সবাইকে হাইকোর্ট বিভাগের পক্ষ থেকে ৩০ জুলাই জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত নির্দেশনা মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।

আইনজীবী মাসুম আহমেদ বলেন, লকডাউনের কারণে মামলার তারিখ কর্জলিস্টে উঠানো সম্ভব হয়নি বলে বিভিন্ন কোর্টে পেশকাররা আমাকে জানান। তিনি বলেন, কোন আদালতেই স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে আদালতে পেশকার, পিয়ন জীবনের ঝুঁক নিয়ে ফাইল নাড়াছাড়া করছে। এদের কার মাস্ক নেই। 

আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক বলেন, নিম্ন আদালত খুলে দেওয়ার পর আইনজীবি ও বিচার প্রার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম। পরিবেশ স্বাভাবিক হতে আরো সময় লাগবে। তবে অধিকাংশ আইনজীবি বিচারপ্রার্থীদের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। 

আইনজীবী শেখ আতিকুর রহমান আতিক বলেন, আদালত এখনো আগের অবস্থায় আসেনি। সবার মাঝে এখনো আতঙ্ক কাজ করছে। তবে অনেক আইনজীবি করোনার কারণে আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়েছে। যারা কারো কাছে হাত পাততে বা সাহায্য চাইতে পারেন না তাদের দুঃখের কথা গুলো কেউ শুনছেন না। আমার বিশ্বাস বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনজীবিদের বিষয়গুলো ভেবে দেখে এ করোনাকালীন সময়ে আইনজীবিদের প্রত্যেকে কমপক্ষে ৩ লক্ষ টাকা করে অনুদান দিলে অনেকটা তাদের কষ্ট কমবে।

তিনি বলেন, আদালতে খুলে দেওয়ার পর আইনজীবি ও বিচারপ্রার্থীদের উপস্থিতি কম হলেও যখন তাদের উপস্থিতি আরো বেড়ে যাবে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে নিয়মিত আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। দু’দিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্রিমিয়া সাগরে বিধ্বস্ত হলো রুশ সামরিক বিমান জর্ডান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী বিচারক এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান

সকল