২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবরার হত্যা : জিয়নের জামিন আবেদন নাকচ

আবরার হত্যা : জিয়নের জামিন আবেদন নাকচ - সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মেফতাহুল ইসলাম জিয়নের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এবং ভার্চ্যুয়াল কোর্টের বিচারক আবু জাফর কামরুজ্জামান আজ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আসামি জিয়নের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ। রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষে শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে আদেশ দেন।

গত ২২ মার্চ ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার নথি পৌঁছালে বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান অভিযোগ গঠনের জন্য ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অভিযোগ গঠন শুনানি এখনো হয়নি।

গত বছর ১৩ নভেম্বর মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ।
মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও এজাহার বহির্ভূত ৬ জন। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত চলাকালে মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, বুয়েট ছাত্র মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশাররফ, অমিত সাহা, মুনতাসির আল জেমি, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, নিহত আবরারের রমমেট মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।
এছাড়া মোর্শেদ অমত্য ইসলাম নামে পলাতক এক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতারদের মধ্যে ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু ছাড়া বাকি সবাই এজাহারভুক্ত আসামি।
এরমধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন- ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান রবিন, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মনিরুজ্জামান মনির ও এএসএম নাজমুস সাদাত।

এখন পলাতক রয়েছেন আরো তিন আসামি। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এরমধ্যে মোস্তবা রাফিদের নাম এজাহারে ছিল না।
গত বছর ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রের হাতে নির্দয় নির্মম ও বর্বরোচিত পিটুনি নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ।
এ ঘটনায় পরদিন নিহত আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement