১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হজ নিবন্ধন কার্যক্রম ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

হজ নিবন্ধন কার্যক্রম ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী - ছবি : সংগৃহীত

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো: আব্দুল্লাহ বলেছেন, চলতি ২০২০ সালের হজ নিবন্ধন কার্যক্রম আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২০ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী এজেন্সিসমূহের ‘হজযাত্রী নিবন্ধন ব্যাংক হিসাব’ ব্যবহার বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশ গুরুত্ব সহকারে পালন করতে হবে।

আজ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ২ মার্চ থেকে হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বর্তমানে ওমরাহযাত্রী প্রেরণ ও সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ আছে। তবে পরিস্থিতি উন্নতি হওয়া সাপেক্ষে ২০২০ সালে হজযাত্রী প্রেরণের লক্ষ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী এসময় হজ সংক্রান্ত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত জানান।

এগুলো হলো- বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বিমান ভাড়া এবং সার্ভিস চার্জ বাবদ ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অন্য কোন ব্যয় বাবদ কোন অর্থ নেয়া যাবে না। অবশিষ্ট অর্থ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমা প্রদান করার জন্য হজযাত্রীকে প্রস্তুত রাখতে হবে। নিবন্ধনের সময় হজযাত্রী এবং এজেন্সিকে আবশ্যিকভাবে নগদ লেনদেন পরিহার করতে হবে। কোন অবস্থাতেই মধ্যস্বত্বভোগী বা তথাকথিত গ্রুপ লিডারের মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে না।

নিবন্ধনের সময় হজযাত্রী কর্তৃক জমাকৃত অর্থ শুধুমাত্র হজ কার্যক্রমেই ব্যয় করতে হবে। নিবন্ধন ভাউচারের মাধ্যমে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। হজযাত্রী কর্তৃক এজেন্সির ব্যাংক হিসাব ব্যতীত কোনভাবে নগদ লেনদেন করা হলে এজন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নিবন্ধনের সময় হজযাত্রী কর্তৃক জমাকৃত অর্থ হজ কার্যক্রম ব্যতীত অন্য কোন খাতে ব্যয় করা যাবে না। নিবন্ধনের জন্য জমাকৃত অর্থ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ব্যতিরেকে কোন অবস্থাতেই উত্তোলন করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা প্রদান না করা পর্যন্ত সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া বা অন্য কোন খাতে ব্যয়ের জন্য অর্থ প্রেরণ করা যাবে না এবং বাংলাদেশেও বিমান ভাড়া বা অন্য খাতে অর্থ ব্যয় করা যাবে না। বিদ্যমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে হজযাত্রী প্রেরণ করা সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে জমাকৃত অর্থ হজযাত্রী বরাবর ফেরৎ প্রদান করতে হবে।

তিনি জানান, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বিমান ভাড়া এবং সার্ভিস চার্জ বাবদ ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অর্থ কোন এজেন্সি অথবা অন্য কোন ব্যক্তি দাবী করলে কোন অবস্থাতেই সম্মানিত হজযাত্রীগণ তা প্রদান করবেন না। এমন কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিক অবহিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী হজযাত্রী, হজযাত্রী নিবন্ধনে নিয়োজিত এজেন্সি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে আবশ্যিকভাবে এ নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য পূর্বের ন্যায় সম্পূর্ণ টাকা জমা প্রদান করে হজযাত্রী নিবন্ধনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে সকলকে সরকার ঘোষিত নিয়ম কানুন, স্বাস্থ্যবিধি, মসজিদে নামাজ আদায়ের বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রদত্ত নির্দেশনা পালনের আহবান জানান। এসময় তিনি বিশ্বব্যাপী এ কঠিন বিপদের মুহূর্তে মুসলমানদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট বেশি বেশি তওবা, ইস্তেগফার করা এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ বিধান মতে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করার আহবান জানান। সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement

সকল