২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে জুয়া খেলা বন্ধের পূর্ণাঙ্গ রায়

পবিত্র কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে জুয়া খেলা বন্ধের পূর্ণাঙ্গ রায় - ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার অভিজাত ১৩টি ক্লাবসহ সারা দেশে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বন্ধে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে জুয়া খেলা নিয়ে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনে যে বিধিনিষেধ আলোচিত হয়েছে, তা রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুরা আল মায়েদার ৯০ ও ৯১ নম্বর আয়াত তুলে ধরা হয়েছে। তবে টাকা ছাড়া শুধু বিনোদনের উদ্দেশ্যে খেলা যাবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।

রায় প্রদানকারী বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের স্বাক্ষরের পর ২৫ পৃষ্ঠার এ রায় বৃহস্পতিবার বিকালে প্রকাশ করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, আইনের চোখে সবাই সমান। যদিও ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের সদস্যরা চিত্ত-বিনোদনের উদ্দেশে এই খেলা খেলেন। তাদের সদস্যদের পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্থিক সচ্ছলতা থাকলেও তারা সমাজের দরিদ্র শ্রেণি থেকে ভিন্ন হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে না বলে রায়ে বলা হয়েছে।

১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার অভিজাত ১৩টি ক্লাবসহ সারা দেশে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্লাব ও গুলশান ক্লাব আপিল করে।

বন্ধের নির্দেশ দেয়া ১৩টি ক্লাব হল- ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানমণ্ডি ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, সিলেট ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।

এর আগে ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছিল। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সামিউল হক ও অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মো. ফারুক জনস্বার্থে এ রিট করেছিলেন।

রিটের শুনানি করে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি ক্লাবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত জুয়া খেলা বন্ধে রায় ঘোষণা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement