২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবরার হত্যা : ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ, ৩০ জানুয়ারি শুনানি

-

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানির ৩০ জানুয়ারি তারিখ দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ মামলায় মঙ্গলবার ৮ আসামিকে জামিন দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়। আদালত ঐ আবেদনটি শুনানির জন্য উল্লেখিত তারিখ ধার্য্য করেন।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের হাজিরা গ্রহণ করে।

যাদের জামিন আবেদন করা হয়েছে তারা হলো-মেহেদী হাসান রাসেল, অমিত সাহা, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না মুনতাসির আল জেমি, আকাশ হোসেন, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম। এছাড়া আসামি খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর ও অনিক সরকারের পক্ষে আইনজীবী স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের অনুমতির আবেদন করলে আদালত তা ফিরিয়ে দেন।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ওই ঘটনায় নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহার বহির্ভূত ৬ জন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহার বহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৮ জন।

গ্রেফতার ২২ জন হলো- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, আসামি মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। তারা হলো- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুইজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহার বহির্ভূত আসামি।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় আট আসামি জামিন আবেদন করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement